ইসির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্টসহ ৯টি অভিযোগ এনেছেন ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে বিষয়গুলো তদন্তের জন্য বলেছেন তারা। এর আগে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির কাছে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়া হলেও শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চরম সঙ্কটে আছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ৯টি অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক একসময় ইসির আইনজীবী ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূহ হলো-
১. ‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে বক্তৃতা দেয়ার নামে দুই কোটি টাকার মতো আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম
২. নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার অসদাচরণ ও অনিয়ম
৩. নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনজন কমিশনারের তিনটি গাড়ি ব্যবহারজনিত আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম
৪. ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
৫. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
৬. ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
৭. খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
৮ .গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
৯. সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম
সংবাদ সম্মেলনে শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করেছি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নির্বাচন কমিশন যেসব কার্যকলাপ করেছে, সেগুলো গুরুতর অসদাচরণ। সাংবিধানিক পদে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়ালের কাউন্সিলের। দুদক বা পুলিশ এটা করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দিতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অভিযোগ জানিয়েছি।’ সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যেভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নির্বাচন কমিশনের নাম অবমাননা ও কলঙ্কিত করেছে।’