উপবৃত্তির জন্যে বিকাশে অ্যাকাউন্ট খুলতে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ উপবৃত্তির টাকা নেয়ার জন্যে বিকাশে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হলেন যশোর অঞ্চলের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। সরকার নতুন করে উপবৃত্তির টাকা প্রদানের জন্যে মোবাইল অপারেটর সেবা প্রদান করার ঘোষণা দেয়ায় এই ভোগান্তির কারণ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সরকার ডাচ্বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং বা নগদে তাদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করে আসছে। সাম্প্রতি পুরাতন অপারেটর পরিবর্তন করে বিকাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে অভিভাবকদের ভোগান্তি শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে যে অপারেটরের মাধ্যমে তারা উপবৃত্তির টাকা পেতেন সেখানে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়েছিল। নতুন করে বিকাশ অপারেটরের মাধ্যমে টাকা দেয়ার ঘোষণা দেযার কারণে ও তাদের পূর্বের মত অ্যাকাউন্ট খুলতে হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যশোর বিকাশ অফিসে শরণাপন্ন হন। ফলে, সেখানে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম শেষ হয় গতকাল ১৩ ডিসেম্বর। গত কয়েকদিন মাইকপট্টিস্থ বিকাশ অফিসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। গতকাল শেষ দিনে লাইনটি আরও দীর্ঘ হয়। দীর্ঘ লাইনের কারণে দিনের বেলা শহরে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা জানায় পূর্বে, অনেকের অভিভাবকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলেও সেই অ্যাকাউন্টের সাথে তাদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হচ্ছে। যাদের অ্যাকাউন্ট নেই তাদের নতুন করে খুলতে হচ্ছে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দাউদপুর গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থী ইমামুল হোসেনের সাথে কথা হয়। সে জানায়, তার কৃষক পিতা রবিউল ইসলামকে সাথে নিয়ে শীতের ভোরে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন কাজ শেরে বাড়ি ফিরতে পারব বলতে পারছি না। একই কথা জানান, যশোরের শার্শা উপজেলা থেকে আসা শিক্ষার্থী পারভিন সুলতানা সেতুর মা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, মেয়ের কারণে আমি খুব সকালে বাড়ি থেকে এসে এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সরকারের নির্দেশ বাধ্য হয়ে করতে হবে। মণিরামপুর উপজেলার ডুমুরখালী গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থী আবু সাঈদও একই কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থী অভিভাবক বিকাশে বা কেন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে এমন প্রশ্নে যশোর বিকাশ অফিসের কেউ কথা বলতে চাননি। তারা বিকাশের প্রধান অফিসের পাবলিক রিলেশন অফিসার শামসুদ্দিন হায়দার ডালিমের নাম্বার দিয়ে তার সাথে কথা বলতে বললেন। তিনি জানান, অনেকের পূর্বে অ্যাকাউন্ট ছিল না। নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা নেয়ার জন্যে কাগজপত্রের প্রয়োজন। এক সাথে অধিক শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের দীর্ঘ লাইন ছিল।