যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আহত কর্মচারীর মৃত্যু: সহকর্মীদের ক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভেতর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আহত কর্মচারী সালেহা খাতুন (৫৫) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্মচারীদের ভেতর চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ক্যাম্পাস থেকে উচ্ছেদের ব্যাপারে দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেননি। সালেহা খাতুন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল স্টাফ কোয়ার্টারের মৃত মুজিবর রহমানের স্ত্রী। তিনি হাসপাতালের কিনার পদে চাকরি করতেন।
তার কন্যা আলেয়া খাতুন জানিয়েছেন, গত সোমবার দুপুরে হাসপাতালের মেইন গেটের কাছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। এতে তার একটি পা ভেঙে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে রোগী রেখে ফেরার পথে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স তাকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পথের মাঝে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর তার মৃত্যু হয়। গতকাল ভোরে এ হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাদজোহর হাসপাতাল মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগেও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় কিশোর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৪র্থ শ্রেণির এই কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনার জন্যে তারা হাসপাতাল প্রশাসনকে দোষারোপ করছেন। এব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল চত্বরে কোন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স অবস্থান করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বাইরের থেকে রোগী আনা-নেয়া করতে পারবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে চলে যাবে। পুলিশ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। অনেক আগেই চিঠি দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় একথা বললেও বাস্তবে প্রয়োগ নেই। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বর্তমানে ৫৫টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এগুলো নানা কৌশলে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থান করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনেও রাখা হয়। কয়েকটি রাখা হয় হাসপাতালের সামনে রাস্তা জুড়ে। যেখানে সাধারণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘœ ঘটে। কয়েকবার অ্যাম্বুলেন্স উচ্ছেদ করা হয়েছে। পুলিশের সাথে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি ও চালকদের রয়েছে সুসম্পর্ক। পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বলে অভিযোগ রয়েছে।