যশোরে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশের এএসআই মো. আব্দুস সালামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন এ আদেশ দেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম রাজবাড়ির কালুখালি উপজেলার বড় পাতুরিয়া গ্রামের লোকমান শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি বরগুনা পুলিশলাইন্সে কর্মরত বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী চুন্নু।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি এএসআই মো. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী রোকসানা খাতুন। যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে রোকসানা খাতুন মামলায় উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি সালামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার (রোকসানা) পরিবার সোনার দুল, চেইন, হাতের রুলিসহ সাত ভরি গহনা দেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন তার স্বামী। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রোকাসানাকে মারপিট করে স্বামীর ভাড়া বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১ ফেব্রুয়ারি সালাম বোনের বাড়িতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষ বৈঠকে বসে। এ সময় যৌতুকের টাকা না দিলে রোকসানাকে নিয়ে সংসার করবেন না বলে সালাম জানিয়ে দেন। এ কারণে কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন রোকসানা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, সালাম বরগুনা জেলায় পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। মেয়েলি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর কর্তৃপক্ষ তাকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করে। তিনি বলেন, সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারি করেন। এরপর মীমাংসার শর্তে জামিন নেন সালাম। কিন্তু পরে মীমাংসা না করায় মঙ্গলবার মামলার ধার্য দিনে সালাম আদালত হাজির হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, সালাম একাধিক বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নুর মোহাম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে রেহানা আক্তার। পরে একই জেলার শৈলকুপা থানার নুরুল ইসলামের মেয়ে হেনা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। সর্বশেষ বিয়ে করেন বাদী রোকসানাকে।