ভোর রাতে প্রেস ক্লাবে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় ফখরুলের নিন্দা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ৭ ডিসেম্বর ভোর রাতে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান ও অনশনরত শিক্ষক, গার্মেন্টস কর্মী, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ঘুমন্ত মানুষের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম ও পৈশাচিক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ভোর রাতে অতর্কিত বর্বরোচিত হামলা চালায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ অতর্কিতে গরম পানি, লাঠিচার্জ ও বুটের লাথিতে ঘুমন্ত অবস্থান ও অনশনরত মানুষগুলোকে রক্তাক্ত করেছে, এই কাপুরুষোচিত হামলা থেকে নারী শ্রমিকরাও রক্ষা পায়নি। সরকার এতোটাই বেপরোয়া ও অসহিষ্ণু যে, সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষদের যৌক্তিক দাবিগুলোও শুনতে নারাজ। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমিত আকারে মত প্রকাশের সুযোগটিও সরকার ছিনিয়ে নিল পুলিশকে ব্যবহার করে। মহামারি করোনার প্রবল ঝুঁকি সত্ত্বেও শিক্ষক, পোশাক শ্রমিক, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষগুলোর যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করাতো দূরে থাক, উল্টো তাদের রক্তাক্ত করা হলো। পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার। গণবিচ্ছিন্ন, কর্তৃত্ববাদী অনৈতিক সরকার কখনও জনগণের কোন দাবিকেই তোয়াক্কা করে না-বার বার সরকার এটাই প্রমাণ করল। বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, অবিলম্বে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া এবং ঢাকায় অবাধে সুষ্ঠু রাজনীতির অধিকার চর্চায় ও দাবি-দাওয়া উত্থাপনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবাধ মত প্রকাশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।