মনিরামপুরের ধলিগাতী আলিম মাদ্রাসায় তিনপদে একই শিক্ষক

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ধলিগাতী-সুন্দলপুর আলিম মাদ্রাসায় মাসুম বিল্লাহ নামে এক শিক্ষক তিন পদে চাকরি করে আসছেন। তিনি ২০০৪ সালে যোগদান করেন আরবি প্রভাষক পদে। ২০১২ সালে তাকে আবার নিয়োগ দেয়া হয় সহকারী সুপার পদে। কিন্তু পুর্বের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ না করেই সহকারী সুপার পদে যোগদান করেন। শুধু তাই নয়, কোনপ্রকার নিয়োগ ছাড়াই একই বছরে তিনি এমপিওভুক্ত হন সহকারী মৌলভী হিসেবে। সেই থেকে তিনি এখনও তিনপদে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম এ ওয়াদুদের কারসাজিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার হুরগাতী গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মাসুম বিল্লাহ ধলিগাতী-সুন্দলপুর আলিম মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন ২০০৪ সালে। সেই থেকে তিনি প্রভাষক হিসেবে চাকরি করে আসছেন। কিন্তু এমপিওতুক্ত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালে দাখিল সেকশনে সহসুপার হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে আরবি প্রভাষক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ না করেই সহসুপার পদে যোগদান করেন। পরবর্তিতে সহসুপার হিসেবে এমপিওভুক্ত করতে তার কাগজপত্র ডিজিতে (মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর) প্রেরণ করেন অধ্যক্ষ এসএম এ ওয়াদুদ। কিন্তু মাসুম বিল্লাহ এমপিওভুক্ত হন সহকারী মৌলভী শিক্ষক হিসেবে। অভিযোগ রয়েছে মাসুম বিল্লাহকে দ্বিতীয়বার সহসুপার পদে নিয়োগ করা হলেও তাকে মৌলভী শিক্ষক হিসেবে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে মাসুম বিল্লাহর দাবি, অধ্যক্ষ ওয়াদুদ সহসুপার হিসেবে তাকে এমপিওভুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে অধ্যক্ষই তাকে সহকারী মৌলভী পদে এমপিওভুক্ত করান। সেই থেকে তিনি সহকারী মৌলভী হিসেবে সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি এখনও আরবি প্রভাষক হিসেবেও কাশ নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এসএম এ ওয়াদুদ জানান, দীর্ঘদিন চাকরি করার পর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আরবি প্রভাষক মাসুম বিল্লাহকে দাখিল পর্যায়ে সহসুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় তাকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী মৌলভী হিসেবে এমপিওভুক্ত করেন। সেই থেকে তিনি অতিরিক্ত মৌলভী শিক্ষকেরও দায়িত্ব পালন করছেন। পরিচালনা পরিষদ সভাপতি আবদুর রশিদ জানান, আলিম সেকশন এমপিওভুক্ত হলে তিনি অরবি প্রভাষক হিসেবে যুক্ত হবেন। তবে তাকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র জানান, নিয়োগ ছাড়া তাকে কি ভাবে মৌলভী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভূক্ত করা হলো তা তার বোধগম্য নয়। তবে এ অভিযোগ পাওয়া গেলে তিনি তদন্ত করে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নিবেন।