খেলার খবর

0

মা-বাবার পাশে সমাহিত ম্যারাডোনা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এ সময় তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সমাহিত করার আগে সারা দিনই আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় রাজধানী-জুড়ে এক আবেগ-ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কেউ কাঁদছিলেন, কেউবা তার জন্য দুহাত তুলে প্রার্থনা করছিলেন। জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আর্জেন্টিনার পতাকা ও ১০ নম্বর জার্সি দিয়ে ঢেকে ম্যারাডোনার কফিন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে রাখা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আসলে একপর্যায়ে মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ হয়। শোকার্ত মানুষ কফিনের কাছে আসতে চাইলে একপর্যায়ে তাদের সামাল দিতে পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এ সময় কফিন জনসমাগম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর মোটর শোভাযাত্রায় ম্যারাডোনার মরদেহ বুয়েনোস আইরেস শহরের উপকণ্ঠে বেল্লা ভিস্তায় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাবা-মার কবরের পাশে ম্যারাডোনাকে অন্তিম শয়ানে রাখা হয়। গত বুধবার ৬০ বছর বসে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ম্যারাডোনা। ১৯৬০ সালে ডিয়েগো আর্মান্দোর জন্ম বুয়েন্স আয়াসেয়র লাানুসে। ১৯৭৬ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়ার্সের হয়ে পেশাদার খেলার শুরু। ১৯৭৯ প্রথম বিশ্বকাপ বিজয় আর্জেন্টিনার আন্ডার-টোয়েন্টি টিমের সঙ্গে খেলে। ১৯৮৬ মেক্সিকোতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় করে সেইবার। ১৯৯৭ সালে ৩৭তম জন্মবার্ষিকীতে তিনি পেশাদার খেলোয়াড় জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০০ ফিফার শতাব্দী সেরা খেলোয়াড় খেতাবে ভূষিত হন। ২০০৮ সালের দুই বছরের জন্য আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ নিযুক্ত, চলতি নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দলের ম্যানেজার ছিলেন।

ঘুমের মাঝেই চির বিদায় ম্যারাডোনার
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ডিয়েগো ম্যারাডোনার ময়নাতদন্ত থেকে জানা গেছে ঘুমের মধ্যেই হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে তার। বুধবার ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়, হৃদ্রোগে মারা গেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ময়নাতদন্ত থেকেও সেটিই নিশ্চিত হওয়া গেছে। সান ইসিদ্রো অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টায় ম্যারাডোনাকে তার বিছানায় পাওয়া যায়। চিকিৎসক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হলেন জাগাতে, তখনই মেনে নিতে হয়েছে সত্যটা। ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় ম্যারাডোনার। ১১টায় ময়নাতদন্ত শেষে তার শরীর নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত করতে। ম্যারাডোনার মৃত দেহ এখন রাখা হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের আবাসস্থল কাসা রোসাদায়। সেখানে আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষ সবাই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শনিবার পর্যন্ত ম্যারাডোনার মৃত দেহ শ্রদ্ধার জন্য সেখানে রাখা হবে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক দিন পর বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে ১৮৪ নম্বরে দেখা গেছে। আগে ১৮৭ নম্বরে ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। এশিয়া থেকে ভারত চার ধাপ উন্নতি করে ১০৪ নম্বরে এসেছে। কাতার দুই ধাপ পিছিয়ে ৫৯ নম্বরে চলে গেছে। আফগানিস্তান এক ধাপ এগিয়ে ১৫০ নম্বরে। বৈশ্বিক হিসাব বিবেচনায় শীর্ষ ৬ দলের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেলজিয়াম যথারীতি শীর্ষে। তাদের পরে ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল এবং স্পেন। উরুগুয়ের সঙ্গে অদল-বদলের পর ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা সপ্তম। অষ্টম উরুগুয়ে।

আর একবার নিয়ম ভাঙলে পাকিস্তানকে বাড়ি পাঠাবে নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনার বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আরেকটি নিয়ম ভঙ্গ করলে পুরো পাকিস্তান দলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়াসিম খানকে এভাবে বার্তা দিয়েছে দেশটি। ওয়াসিম পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ পাঠিয়েছেন। সেই মেসেজটি আবার ক্রিকইনফো পেয়েছে। মেসেজে এভাবে সবাইকে সতর্ক করেছেন ওয়াসিম, ‘বয়েজ, আমি নিউজিল্যান্ড সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, তিন-চার বার নিয়ম ভাঙা হয়েছে। আমাদের তারা চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়েছে। বলেছে, আর একবার ভাঙলে গোটা দলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।’ ‘আমি বুঝতে পারছি, নিয়ম মানা কঠিন। কিন্তু এটা দেশের সম্মানের ব্যাপার। ১৪টা দিন দেখ। এরপর সবাই স্বাধীনভাবে রেস্টুরেন্টে যেতে পারবে, ঘুরতে পারবে।’ পাকিস্তান দলের নিউজিল্যান্ডে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট খেলার কথা। বিশেষ ফাইটে দেশটিতে যাওয়ার পর পাক ক্রিকেটারদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার পর ছয় ক্রিকেটার পজিটিভ হন। অথচ পিসিবি বলেছিল, কেউ পজিটিভ নেই। ওই ছয়জন এখন আইসোলেশনে আছেন।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে উইন্ডিজকে হারাল নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বারবার হানা দিল বৃষ্টি। ণে ণে রঙ পাল্টালো ম্যাচ। লকি ফার্গুসনের আগুনে বোলিং এড়িয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন কাইরন পোলার্ড। মিলিত চেষ্টায় সেই রান পেরিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল নিউ জিল্যান্ড। বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১০ ওভার শেষে বৃষ্টির বাধায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৬ ওভারে। সফরকারীরা ৭ উইকেটে করে ১৮০ রান। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে স্বাগতিকরা পায় ১৭৬ রানের ল্য, চার বল বাকি থাকতেই যা ছুঁয়ে ফেলে তারা। তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে শুক্রবারের এই ম্যাচ দিয়ে দেশটিতে ফিরল আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দর্শকও ফিরলেন মাঠে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২১ রানে ৫ উইকেট নেওয়া ফার্গুসন ক্যারিবিয়ানদের কম রানে থামানোর আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ছয়ে নমে ৩৭ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে দলকে লড়াইয়ের জন্য বড় পুঁজি এনে দেন পোলার্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে ফেচারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ওভারেই পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে দলটি। হামিশ বেনেটের এক ওভার থেকে আসে ২৯। পাওয়ার প্লে দুই রকম কাটে ক্যারিবিয়ানদের। প্রথম তিন ওভারে উদ্বোধনী জুটির ব্যাটে তারা তোলে ৫৫ রান। পরের তিন ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে কেবল ৫!
স্বাগতিকদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু লকি ফার্গুসনের হাত ধরে। ২৪ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৩৪ রান করা ফেচারকে বোল্ড করে ভাঙেন ৫৮ রানের জুটি।সেই ওভারেই শূন্য রানে বিদায় করেন শিমরন হেটমায়ার, পরের ওভারে থামান নিকোলাস পুরানকে। ফার্গুসনের দুই ওভারের মাঝে ব্র্যান্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েলকে ফেরত পাঠান টিম সাউদি। ওই ধসে ৫৮/০ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয় ৫৯/৫। ১ রানে ৫ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের ত্রাতা পোলার্ড। শুরুতে অধিনায়ক ছিলেন সাবধানী। বৃষ্টির জন্য সফরকারীদের ইনিংসের দশম ওভারের পর আবার খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৬ ওভারে। পুনরায় খেলা শুরুর পর দেখা যায় পোলার্ডের রুদ্ররূপ। ছক্কা বৃষ্টিতে দলকে ফেরান কপথে। দারুণ সঙ্গ দেন ফাবিয়ান অ্যালেন। ৫০ বলে ৮৪ রানের জুটিতে তার অবদান ২৬ বলে ৩০। আক্রমণে ফিরে অ্যালেনকে বিদায় করে জুটি ভাঙেন ফার্গুসন। পরে কিমো পলকে বিদায় করে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন তিনি। তার আগের সেরা ছিল ৪/২৬।  শেষ ৬ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা তোলে ৮৪ রান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান পোলার্ডের। ৩৭ বলে ৮ ছক্কা ও ৪টি চারে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তার আগের সেরা ছিল ৬৮। খরুচে বোলিং করা বেনেট শেষ করতে পারেননি নিজের তৃতীয় ও ম্যাচের শেষ ওভার। দুটি বিপজ্জনক বিমার মারায় বোলিং থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। পরে বিপজ্জনক না হওয়ায় ক্যারিবিয়ান পেসার কিমো পল তিনটি বিমার মেরেও বেঁচে যান। রান তাড়ায় শুরুতেই মার্টিন গাপটিলকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। আরেক ওপেনার টিম সেইফার্টও করতে পারেননি তেমন কিছু। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন গ্লেন ফিলিপস। ৭ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২২ রান করা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে থামান ওশেন টমাস। রানের খাতা খোলার আগেই রস টেইলরের রান আউটে আবার চাপে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। অভিষিক্ত ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জিমি নিশামের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। খরুচে বোলিং করা নিশাম নেমেছিলেন যেন পুষিয়ে দেওয়ার পণ করে। শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেন কনওয়েও। ২৯ বলে ৪১ রান করা কনওয়েকে ফিরিয়ে ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন পোলার্ড। মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন নিশাম। ক্যারিবিয়ানদের বিশৃঙ্খল বোলিংয়েরও যথেষ্ট দায় আছে। কিমো পল এক ওভারেই করেন চার ‘নো’ বল! ২৪ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা স্যান্টনার তিন ছক্কায় করেন ৩১ রান। আগামী রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

স্মিথ-ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ভারতের হার
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়া অস্ট্রেলিয়াকে টপকাতে পারেনি বিরাট কোহলির ভারত। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শুক্রবার ৬৬ রানে হেরেছে দলটি। সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৭৪ রান সংগ্রহ করে। ভারতের বিপে যা তাদের সর্বোচ্চ। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩৫৯ ছিল আগের সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ফিঞ্চ করেন ১১৪। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৫ হাজার ওয়ানডে রানও। ১১ চার ও তিন ছক্কায় স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ১০৫। রান তাড়ায় ভারত ঝড়ের গতিতে শুরু করলেও বড় জুটি পায়নি টপ অর্ডারে। শেষ পর্যন্ত তারা করতে পারে ৩০৮ রান। চোটের কারণে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা হার্দিক পান্ডিয়ার ৭৬ বলে ৯০ রানের ইনিংস ভারতের প্রাপ্তি। ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অ্যাডাম জাম্পা। অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে রান আসে ৫১। ৬৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ফিঞ্চ, ৫৪ বলে ওয়ার্নার। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনের একাদশ শতরানের জুটি থামে ১৫৬ রানে গিয়ে। মোহাম্মদ শামির বলে ওয়ার্নার উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৭৬ বলে ৬৯ করে। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চ ও স্মিথের জুটিতেও আসে শতরান। মাত্র ৭৩ বলেই ১০৮ রানের জুটি। ১১৭ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ফিঞ্চ। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১৬ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। শতরানের পর রান বাড়ানোর চেষ্টায় ফিঞ্চ বিদায় নেন ১২৪ বলে ১১৪ রানে। জীবন পাওয়া স্মিথ ৬২ বলেই পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। অস্ট্রেলিয়ার যা তৃতীয় দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যাক্সওয়েল করেন ১৯ বলে ৪৫। শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ১১০ রান। ভারতীয় বোলারদের দুর্দশার দিনে খানিকটা ভালো করেন কেবল মোহাম্মদ শামি (৩/৫৯)। ১০ ওভারে ৮৯ রান দেন চাহাল, ওয়ানডেতে কোনো ভারতীয় স্পিনারের যা সবচেয়ে খরুচে বোলিং। ভারতের রান তাড়ার শুরুটা ছিল চোখধাঁধানো। ওয়াইড বল-নো বলে চার মিলিয়ে মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভার থেকে আসে ২০ রান। জশ হেইজেলউডের করা পরের ওভার থেকে ১২। দলের পঞ্চাশ হয়ে যায় কেবল ৪.১ ওভারেই। সেখান থেকে ভারতের রাশ টেনে ধরেন হেইজেলউড। আগারওয়ালকে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন তিনি ব্রেক থ্রু। এই পেসার পরে এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারকে। কোহলি করতে পারেন ২১ বলে ২১ রান। জাম্পা বোলিংয়ে এসে ফুল টসে ফেরান লোকেশ রাহুলকে। ভারতের রান তখন ৪ উইকেটে ১০১। প্রথম স্পেলে খরুচে জাম্পা দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিশ্চিত করে দেন অস্ট্রেলিয়ার জয়। ৮৬ বলে ৭৪ রান করা ধাওয়ানকে ফিরিয়ে তিনি ভাঙেন জুটি। পরে এই লেগ স্পিনার ফিরিয়ে দেন পান্ডিয়াকেও। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯০ রান পান্ডিয়ার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এরপর নবদিপ সাইনি (২৯*), রবীন্দ্র জাদেজাদের (২৫) সৌজন্যে তিনশ ছাড়াতে পারে ভারত।