বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘এেেত্র বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরিভুক্ত করে দেওয়া হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় কিছুদিনের মধ্যেই একটি কমিটি গঠন করবে। আর এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদপে গ্রহণ করা হবে।’ গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং কিনিকগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান কিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে করার ব্যাপারে মতামত দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিকের পুরোপুরি সহায়তা প্রত্যাশা করে অনুরোধ জানান। পরে তাদের প থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। পর্যালোচনা সভায় বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বাড়াতে হবে। যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা নেই, তাদের তা নবায়ন করতে হবে, বিশেষ করে হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। “যদি লাইসেন্স নবায়ন না থাকে, সরকারের নিয়ম-নীতির ভায়োলেশন থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উনারা অনেকে কিছুতে আমাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে একমত হয়েছেন।” স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে অনুমোদন এবং যথাযথ সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই দেশের ১১ হাজার ৯৪০টি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯১৬টি হাসপাতাল ও কিনিক লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদনই করেনি। ৯ হাজার ২৪টি হাসপাতাল-কিনিকের মধ্যে কোনো কোনোটি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করলেও এখনও অনুমোদন পায়নি। আবার কোনো কোনোটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেই অর্থে সেগুলোও অবৈধ। একটি কিনিক, হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কী ধরনের যন্ত্রপাতি, জায়গা ও জনবল অবশ্যই থাকতে হবে, সে বিষয়গুলোও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়েও বেসরকারি হাসপাতলগুলোর কর্তৃপ একমত হয়েছে। “উনারা (বেসরকারি হাসপাতালের মালিকরা) একটা দাবি করেছেন যে, হাসপাতাল থেকে যে বর্জ্য সৃষ্টি হয়, সেটা ট্রিটমেন্ট করার একটা ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমরা দেখব কীভাবে সাহায্য করতে পারি।”