স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় স্বামী আমিরুল ইসলাম ইমনকে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী মো. আবদুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৫ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। এরপর নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। নথি থেকে জানা যায়, আসামি আমিরুল ইসলাম ইমন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু ঝাকড়া গ্রামের মো. গফুরের ছেলে।
১৯৯৯ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার দলুয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক অনটনে যাচ্ছিল তাদের দিনকাল। পরে ২০০৩ সালে ঢাকার পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেকশনের ৫ নম্বর রোডের ৯৪৯ নম্বর ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা। চাকরি করলেও ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে আয়েশাকে প্রায়ই মারধর করতেন ইমন। যৌতুক দিতে না পারায় এক পর্যায়ে ২০০৪ সালের ১৫ই নভেম্বর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ইমন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বকর সিদ্দিক রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেপ্তারকৃত ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর ২০০৫ সালের ৭ই এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে আমিরুল ইসলাম ইমন ও সৌরভ নামে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক। ২০১৫ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।