যশোরে করোনায় ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু : আক্রান্ত আরও ৯ জন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যশোর সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মানিক মোল্যা (৫৭) মারা গেছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে যশোর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে ফরিদপুরে তার মৃত্যু হয়। সদর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মাহবুব কবীর জানিয়েছেন, মানিক মোল্যা গত ৪ নভেম্বর নমুনা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ৬ নভেম্বর তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এ সময় তিনি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কোভিড-৯ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। শুক্রবার দিনগত মধ্য রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিক মোল্যাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেয়ার সময় রাত ২টার দিকে পথের মাঝে ফরিদপুরে মানিক মোল্যার মৃত্যু হয়। মানিক মোল্যার বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুরে। মৃত্যুর পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মানিক মোল্যা যশোর সদর ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করার সুবাদে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় বসবাস করতেন বলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মাহবুব কবীর জানিয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জন। ঢাকায় ৫ জন এবং খুলনায় ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ জন। এদিকে, গতকাল যশোরে ৯ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে মোট ৮৬টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ওই রিপোর্টে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ৯ জনই যশোর সদরের। এ নিয়ে যশোরে মোট ৪ হাজার ১শ’ ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ভেতর ৪ জন কোভিড-১৯ হাসপাতালে এবং ১শ’ ৩৭ জন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩ হাজার ৯শ’ ৬১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। করোনা সন্দেহে গতকাল ৯১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। গতকাল করোনায় আক্রান্তদের ভেতর ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- যশোর শহরের ঘোপ এলাাকর শাহিদা (২০), কাঁঠালতলা এলাকার রাহিমা (৫০), বারান্দীপাড়ার কেএম ফারহান গালীব (২৪), ফাতেমা তাসলিম লাবণ্য (১৭), চৌগাছার রিপা পারভীন (৪৮), বাঘারপাড়ার লক্ষ্মীপুরের ইসা করিম (৩১) ও মাগুরা বিনোদপুরের পলি কর্মকার (৪৬)।