২৪ তম প্রতীষ্ঠাবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি

0

                            শ্রদ্ধাঞ্জলি

দৈনিক লোকসমাজ এর আজ দুই যুগ পূর্তি হলো। যাত্রা শুরু থেকে আজ চব্বিশ বছর পূরণ এক আবেগ ঘন সময় বটে আমাদের জন্য। এই শুভক্ষণে এক মহানুভব মানুষের প্রভাব আমার চতুর্দিকে। তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল মানব তরিকুল ইসলাম। যার ছায়াতলে দীর্ঘ তেইশ বছর লোকসমাজ নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অব্যাহত রেখেছে প্রকাশনা। প্রতিহিংসায় জর্জরিত হয়েও একদিনও থেমে থাকেনি প্রকাশনা। এ সংবাদপত্রের পাতায় পাতায় তরিকুল ইসলামের স্মৃতি। নিজের স্বপ্ন লোকসমাজকে তিনি নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন।
এ কথা অনস্বীকার্য যে, সংবাদপত্রের বিকাশে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লোকসমাজের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। তা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রেও যেমন, তেমনি শিল্পের ক্ষেত্রেও। এ অঞ্চলের সাংবাদিকদের একটি বড় অংশের জন্য বটবৃক্ষের ভূমিকা পালন করেছে লোকসমাজ। নামের যথার্থতা বজায় রেখেছে এ সংবাদপত্র। লোকের অর্থাৎ মানুষের কথা বলছে এবং সমাজের কথা বলছে। যা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রকাশক তরিকুল ইসলামের জন্য। একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক হয়েও তিনি তার মালিকানাধীন খবরের কাগজকে রাজনীতির সাথে গুলিয়ে ফেলতে দেননি। নিজের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের এ চতুর্থ স্তম্ভ ও সমাজের দর্পণটিকে তিনি ব্যক্তি মুখপত্র অথবা দলীয় মুখপত্র না করে সংবাদপত্র করেছেন। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে যারা লোকসমাজের সাথে থেকেছেন বা শুভানুধ্যয়ী হয়েছেন তারাই জানেন এ পত্রিকার কর্মীরা কি দাপটে সমাজের অসঙ্গতি,অপসংস্কৃতি ও যাবতীয় অনিয়ম নিয়ে অবলিলায় সংবাদ তৈরি করছেন নীতি-নৈতিকতা মেনে যে কোন সময়ে।
যেহেতু কাগজের মালিক অর্থাৎ প্রকাশক একজন জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিক সেহেতু ক্ষমতার পালা বদলে আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে লোকসমাজকে। কিন্তু পাঠক প্রিয়তা লোকসমাজের পথচলাকে কখনও অবরুদ্ধ হতে দেয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রকৃত সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারার কারণে। আর প্রকৃত সংবাদপত্র হিসেবে লোকসমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা দিয়ে সেই কাজটি করেছেন প্রকাশক তরিকুল ইসলাম। আজ লোকসমাজ দুই যুগ পূর্তি হচ্ছে। একই সাথে চার দিন পর আমাদের প্রয়াত প্রকাশকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। তাঁর নীতি আদর্শ ও সাহসী পথচলা আমাদের পাথেয়।