করোনা কেড়ে নিলো ১০০ চিকিৎসক, অব্যবস্থাপনাও দায়ী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কোভিড-১৯ ও করোনার উপসর্গে এখন পর্যন্ত ১০১ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জানাল এ তথ্য। বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশে করোনা মহামারিতে ১০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি ডাক্তার মারা গেছেন গত জুনে। সরকার দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগীর কথা জানায় ৮ মার্চ। ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
২৩ মার্চ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সবাই যার যার অংশ পালন করুন। আমরা হাসপাতাল এ কাজ করছি। আপনি ঘরে থাকুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’ ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় মারা যান ১৫ এপ্রিল। তিনিই প্রথম। এরপর একে একে কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১০০ জনের বেশি চিকিৎসক। সবশেষ গতকাল (২৯ অক্টোবর) মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য ডা. সেলিম আহমেদ। রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। চিকিৎসকদের মৃত্যুর তালিকা থেকে দেখা যায়, কেবল এপ্রিলে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হলেও দিনকে দিন সংখ্যাটা বেড়েছে। বিএমএর হিসাব অনুযায়ী, কেবল জুনে মারা গেছেন ৪৫ জন ডাক্তার। গত তিন মে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজিস্ট অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা মো. মনিরুজ্জামান, ১১ মে ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান, ১২ মে ইবনে সিনা হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আবুল মোকারিম মো. মহসিন উদ্দিন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মীর মাহবুব, ১৮ মে ডা. আজিজুর রহমান রাজু ও ডা. সারোয়ার ইবনে আজিজ, ২২ মে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী দিলরুবা খানম ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. এম এ মতিন, ২৫ মে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. সৈয়দ জাফর হোসাইন মারা যান। ২৬ মে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনা খান ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুর রহমান, ২৭ মে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যপপক ডা. মোশাররফ হোসেন, ২৮ মে ক্যাপ্টেন (অব.) ডা মো. এ. এফ. এম সাইদুল ইসলাম মারা যান। চিকিৎসকরা যখন একের পর এক মারা যাচ্ছিলেন তখন ডা. তানজিনা হোসেন ফেসবুকে লেখেন, “বাংলাদেশে কতজন বিশেষজ্ঞ আছেন এরকম সব বিষয়ে কেউ জানেন? কজন শিশুরোগ অধ্যাপক, কজন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট? আইসিইউ বিশেষজ্ঞ কয়জন? বা গোপাল স্যারের মতো সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক? মির্জা নাজিমুদ্দিন বা গোলাম কিবরিয়া স্যারের মতো মেন্টর? লাখে কেন, দশ বিশ ৫০ লাখেও একজন নেই। নীরবে যে দেশটা ’৭১-এর মতো মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে আমরা কেউ খেয়াল করছি না। আগামী বছরগুলোতে এই ভয়াবহ লস টের পাওয়া যাবে।”
১ জুন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ বাবলু। ২ জুন ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মনজুর রশিদ চৌধুরী, ৩ জুন চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. এহসানুল করিম, ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও ডিজি হেলথের অবসরপ্রাপ্ত ইভালুয়াটার অফিসার ডা. এ কে এম ওয়াহিদুল হক। চার জুন মারা যান ফরেনসিক মেডিসিনের কিংবদন্তী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. মুহিদুল হাসান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এন আই খান। ৫ জুন মারা যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এস এ এম গোলাম কিবরিয়া ও বেসরকারি পোশাক কারখানায় কর্মরত ডা. ইহসানুল কবির চৌধুরী। ৬ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান সাভার ইপিজেড এর সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার (অব.) ডা. আবুল কাসেম খান। ৭ জুন মারা যান বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ও পরিচালক ( মেডিক্যাল সার্ভিসেস) অধ্যাপক ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন। ৮ জুন মারা যান ডা. রাজিয়া, ল্যাবএইড হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগের কনসালটেস্ট ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিক।
৯ জুন মারা যান বরিশালের ডা. আনোয়ার হোসেন ও ইমপালস হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জলিলুর রহমান খান। ১০ জুন মারা যান মেরি স্টোপস ক্লিনিকের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিলা রহমান। ১২ জুন মারা যান চার জন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. গাজী জহিরুল হাসান, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মানোয়ার, যিনি কোভিড প্রার্দুভাবের পর ফেসবুকে লিখেছিলেন, “একজনের মৃত্যু একটি ট্রাজেডি। যখন মৃত্যুসংখ্যা লাখ ছাড়ায়, তখন তা শুধুই পরিসংখ্যান। চিকিৎসকেরা এই পরিসংখ্যানের অংশ হওয়ার চেষ্টা করো না। নিরাপদে থাকার চেষ্টা করো।” সেদিনই মারা যান জেড এইচ শিকদার মহিলা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল হক ও চট্টগ্রামের বেসরকারিভাবে কর্মরত ডা. আরিফ হাসান।
১৩ জুন মারা যান বেসরকারি বিআরবি হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসাইন। পরদিন ১৪ জুন চট্টগ্রামের ডা. সাদেকুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম। ১৫ জুন মারা যান বি সি আই সির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান মেডিক্যাল অফিস ডা. তৌফিকুন্নেছা ও কক্সবাজার জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আ ন ম আব্দুল হাই। ১৬ জুন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম মুজিবুর রহমান। ১৭ জুন একইদিনে মারা যান চার চিকিৎসক। তারা হলেন, চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুজ্জামান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ ও এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. রফিকুল হায়দার লিটন। ১৮ জুন চট্টগ্রামের ডা. জান্নাতুন নাঈম জিনিয়া ও ১৯ জুন মারা বরিশাল সদর হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এমদাদুল্লাহ খান।
২০ জুন মারা যান তিন চিকিৎসক। বেসরকারি কর্মরত অধ্যাপক ডা. শফিক আহমেদ, কুমিল্লার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান রিপন ও ইমপালস হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বজলুর রহমান। ২১ জুন মারা যান চট্টগ্রামের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ললিত কুমার দত্ত ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুনীল কুমার সরকার ও ডা. সৈয়দ শাহনেওয়াজ। ২৪ জুন মারা যান তিনজন চিকিৎসক-সিরাজগঞ্জের ডা. মো. ইউনুস আলী খান, ডা. মো. সমিরুল ইসলাম বাবু ও ডা. এস এম সাইফুল ইসলাম। ২৫ জুন মারা যান ডা. ফিরোজা বানু মিনু, ২৬ জুন ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ২৭ জুন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আসাদুজ্জামান ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোপাল শংকর দে।
১ জুলাই মারা যান গাজীপুরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রাধন অধ্যাপক ডা. গোলাম সারওয়ার, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব। ৪ জুলাই মারা যান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও বিএমএ-র আজীবন সদস্য অধ্যাপক ডা. কে এম মুনতাকিম চৌধুরী। ৫ জুলাই মারা যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুল আনোয়ার, ৭ জুলাই ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সুলতানা লতিফা জামান আইরিন, ১৭ জুলাই কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম নুর উদ্দিন আবু আল বাকী রুমি, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবদুল হামিদ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডা. কোহেল করিম, ১৮ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবল হোসাইন খান চৌধুরী, ২৫ জুলাই কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক পরিচালক ব্রি. জেনারেল ডা. মো শহীদুল্লাহ, ২৬ জুলাই অর্থোপেডিক সার্জন ডা. বদিউজ্জামান হীরা, ২৮ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টি আই এম আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ২৯ জুলাই ডা. নারগিম মুর্শিদা বানু।
তিন আগস্ট মারা যান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ছয় আগস্ট মারা যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ডা. এফ বি এম আব্দুল লতিফ, আট আগস্ট ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, নয় আগস্ট মারা যান সিরাজগঞ্জের শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের অর্থোসাজারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রেজোয়ানুল বারী শামীম, ১০ আগস্ট মারা যান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাক হোসেন আনসারী, ১১ আগস্ট মারা যান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল হক খান, ১৬ আগস্ট মারা যান ডা. আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. মো আব্দুর রহমান। ২০ আগস্ট মারা যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. সৈয়দ আখতার হোসেন ও জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সাবেক সহ-পরিচালক ডা. এ বি এম সিদ্দিকুল ইসলাম।
২৮ আগস্ট মারা যান বিএমএর আজীবন সদস্য ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও কুমিল্লা জেলার সাবেক সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো আব্দুল মতিন পাটোয়ারী। দুই সেপ্টেম্বর মারা যান ডা. বি এম ফারুক, তিন সেপ্টেম্বর মারা যান ইব্রাহীম মেডিক্যাল কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার বেলা, সাত সেপ্টেম্বর মারা যান অধ্যাপক ডা. এ এফ এম সিদ্দিকুর রহামন ও অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর। আট সেপ্টেম্বর মারা যান অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া রওশন আর বেগম ও জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী। ১৭ সেপ্টেম্বর মারা যান ডা. মো ওবায়দুর রহমান, ২৮ সেপ্টেম্বর ডা. হেদায়েতুল ইসলাম। ১ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ হোসেন, ১১ অক্টোবর মারা যান অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম, ১৩ অক্টোবর মারা যান ডা. কাউসার আহমদ মজুমদার, ১৪ অক্টোবর ডা. রমেশ চন্দ্র নাথ ও ডা. মো খলিল উদ্দিন, ২৫ অক্টোবর অধ্যাপক ডা. এ কে এম মাসুদুর রহমান ও ২৯ অক্টোবর মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সেলিম আহমেদ। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়শন (বিএমএ)র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘অনেক প্রথিতযশা চিকিৎসককের আমরা করোনায় হারিয়েছি, যাদের রিপ্লেসমেন্ট কোনও দিন হবে না। বড় বড় চিকিৎসককে হারিয়েছি- এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ‘ক্যাজুয়ালিটি শুরুতে হয়েছে বেশি, এখন কম। কিন্তু এত চিকিৎসকের মৃত্যু হতো না যদি শুরু থেকে হাসপাতালগুলোতে অব্যস্থাপনা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর নামে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া না হতো। বিশেষ করে আইসিইউতে যদি সঠিকভাবে সুরক্ষা মেনে চলা যেত তাহলেও এত ডাক্তার মারা যেতেন না।’ বলেন, ইহতেশামুল হক চৌধুরী।