খেলার খবর

0

ইংল্যান্ডের আর্চার, অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক,
ভারতের বুমরাহ, বাংলাদেশের কে?
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বিশ্বের অনেক দলের বোলিং আক্রমণেই তুরুপের তাস থাকেন কেউ একজন। ইনিংসের শুরুতে, মাঝে কিংবা শেষে, উইকেট শিকারের প্রয়োজনে বা ব্যাটসম্যানকে ভড়কে দিতে, বল তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। বাংলাদেশ দলেও তেমন কাউকে খুঁজছেন রাসেল ডমিঙ্গো। জাতীয় দলের প্রধান কোচের নজর আপাতত তাসকিন আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের দিকে।
উইকেট শিকারি বোলার অনেক ধরনেরই আছে। ডমিঙ্গো আলাদা করে বলছেন আগ্রাসী ঘরানার বোলারদের কথা। গতি ও বাউন্স দিয়ে যারা যে কোনো সময় বদলে দিতে পারেন খেলার মোড়। শরীরী ভাষায় কাঁপন ধরাতে পারেন ব্যাটসম্যানদের বুকে। যখন-তখন ম্যাচে রাখতে পারেন ছাপ।
চলতি প্রেসিডেন্ট’স কাপে তাসকিন ও খালেদের বোলিং দেখে আশায় বুক বাঁধছেন ডমিঙ্গো। বিশ্ব ক্রিকেটের সমসাময়িক আরও কয়েকজন বোলারের উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশ কোচ বললেন তার রোমাঞ্চের কথা।
“ যখন থেকে আমি এখানে এসেছি, তখন থেকেই বলছি যে কিছু ভালো ফাস্ট বোলার গড়ে তোলা কতটা জরুরি। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব খেলাতে হবে, বিশেষ করে দেশের বাইরে লড়াই করতে হলে। যা দেখেছি এখনও, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। তাসকিন যেভাবে বল করছে, দেখুন তাকিয়ে।”
“ সব আন্তর্জাতিক দলেই সাদা বলের ক্রিকেটে এমন একজন ফাস্ট বোলার আছে, দলের উইকেট প্রয়োজন হলে যাকে আক্রমণে আনা হয়। ইংল্যান্ড আনে আর্চারকে, অস্ট্রেলিয়া স্টার্ককে, দক্ষিণ আফ্রিকা রাবাদাকে, ভারত বুমরাহকে। এটা তাই দারুণ যে আমাদের হাতে এখন সেরকম বিকল্প আছে। খেলায় যখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, কেউ এসে খুব গতিময় বল করতে পারে। তাসকিন বা খালেদরা বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ভড়ক দিতে পারে। আমার জন্য এটা খুবই সন্তুষ্টির।”
শুধু তাসকিন ও খালেদই নয়, প্রেসিডেন্ট’স কাপে ভালো বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরি, আল আমিন হোসেন, সুমন খানও। মন্থর উইকেটেও এত জন পেসারের দারুণ বোলিং আশাবাদী করে তুলেছে ডমিঙ্গোকে।
“ এই প্রেসিডেন্ট কাপের একটি প্রাপ্তির কথা বলতে হলে আমি ফাস্ট বোলারদের পারফরম্যান্সের কথা বলব। সংবাদমাধ্যম ও ভক্তরা এটা নিয়ে রোমাঞ্চিত হতে পারে। আমরা একমুখি দল হতে চাই না, বিশেষ করে দেশের বাইরে গিয়ে। ওরা যখন ব্যাটসম্যানদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে (এই টুর্নামেন্টে), আমি তাতে রোমাঞ্চিত। ম্যাচ জিততে ১০ উইকেট বা ২০ উইকেট নিতে হয়।”

হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কপিল দেব
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জেতা দলের অধিনায়ক কপিল দেব হার্ট-অ্যাটাক হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালে তার অ্যানজিওপ্লাস্টি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় দেখা যায় ৬১ বছর বয়সী কপিলকে। করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রায়ই গলফ কোর্সে দেখা যেত তাকে। তার হৃদ্রোগ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা আছে এর আগে শোনা যায়নি।
কপিলের অসুস্থতা নিয়ে সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ও ভারতের ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক মালহোত্রা পিটিআইকে বলেন, “তার অবস্থা এখন ভালো। মাত্রই তার স্ত্রী রোমির সঙ্গে কথা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিনি অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কথা বলে জানতে পেরেছি, তার এখন চেক-আপ চলছে।”
অপর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কপিলের বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পেতে পারেন। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের অসুস্থতায় ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গনে উদ্বেগ নেমে এসেছে। কপিলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন গৌতম গম্ভীর, অনীল কুম্বলে, সুরেশ রায়নারা।

পাকিস্তান সফরে থাকা জিম্বাবুয়ে দলে করোনার হানা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কবলে পড়েছে সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে আসা জিম্বাবুয়ে দলে। রেজিস চাকাভা ও টিমাইসেন মারুমার কভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। করোনা প্রটোকল অনুযায়ী, তাদেরকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এতে অবশ্য আতঙ্কের কিছু নেই। কেননা করোনা আক্রান্ত দুই ক্রিকেটার পাকিস্তানে সফররত জিম্বাবুয়ে দলের স্ট্যান্ডবাই সদস্য। তারা হারারেতে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বায়ো সিকিউর বাবলে রুমমেট ছিলেন। পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত ২৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন। তবে ২০ সদস্যের মূল স্কোয়াডে না থাকায় ভাইরাস শনাক্তকালে অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে আলাদা ছিলেন। এছাড়া আলাদা-আলাদা হোটেলে থাকায় স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়দের সঙ্গে মূল দলের খেলোয়াড়দেরও কোনো সংস্পর্শ নেই। দুই ক্রিকেটার ছাড়াও দলের দুই স্টাফের শরীরেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।মূল দলে কারোর রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। তবে দলের কোয়ারেন্টাইনকালীন সময় শেষ হওয়ার পর আবার করোনা টেস্ট করা হবে।এই সফরে স্বাগতিকদের সঙ্গে তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে ৩০ অক্টোবর, ১ নভেম্বর ও ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ম্যাচ তিনটি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অংশ। এরপর লাহোরে ৭, ৮ ও ১০ নভেম্বর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো।

রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল হায়দরাবাদ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ আঁটসাঁট বোলিংয়ের পর মানিশ পান্ডে ও বিজয় শংকরের দারুণ ব্যাটিং। তাতে রাজস্থান রয়্যালসকে অনায়াসে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই জয়ে চলতি আইপিএলে প্লে-অফের আশাও জিইয়ে রাখল ডেভিড ওয়ার্নারের দল।বৃহস্পতিবার রাতে দুবাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থানকে ৮ উইকেটে হারায় হায়দরাবাদ। এগারো বল বাকি থাকতেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় দলটি। ৪৭ বলে আট ছক্কা ও চার চারে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন মানিশ পান্ডে; আর ৫১ বলে ছয় চারে ৫২ রানে অপরাজিত থাকে বিজয়।
এর আগে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করা রাজস্থান রয়্যালস। ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সঞ্জু স্যামসন, ৩০ রান করেন বেন স্টোকস। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার, একটি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও বিজয় শংকর। অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিজয়ী দলের মানিশ পান্ডে এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ৷ আর এই ম্যাচ হেরে ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে নেমে গেল রাজস্থান রয়্যালস। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের রাস্তা সহজ করে রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। নয় ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স; আর ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থানে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

মাহমুদউল্লাহ-নাজমুল একাদশের ফাইনাল আগামীকাল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ নাজমুল একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ মধ্যকার বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালের সূচিতে পরিবর্তন এসেছে। আগামী রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টা বৈরী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ফাইনালের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি বিসিবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে।
তিন দলের টুর্নামেন্টে লিগ পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনালে উঠে নাজমুল একাদশ। লিগ পর্বে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় ও একটি হারের স্বাদ পেয়েছে নাজমুল একাদশ। অন্যদিকে, মাহমুদউল্লাহ একাদশ দু’টি ম্যাচে জয় পায়। টুর্নামেন্টের আরেক দল তামিম একাদশ হতাশাজনক পারফরমেন্স করে। চার ম্যাচে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পায় তারা। বিদায় নিতে হয় লিগ পর্ব থেকেই। ফাইনালে ফেবারিট নাজমুল একাদশ। কারণ লিগ পর্বে দু’বার মাহমুদউল্লাহ একাদশ থেকে হারিয়েছে নাজমুল একাদশ।

পাকিস্তানের নেতৃত্ব হারাচ্ছেন আজহার
স্পোর্টস ডেস্ক॥ একবছর যেতে না যেতেই তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ যেমন নিচে নেমে গেছে, তেমনি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও আলো হারিয়েছে। তাই পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের জায়গাটা আর ধরে রাখতে পারছেন না আজহার আলী। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর খবর, সামনের নিউজিল্যান্ড সফরে নতুন অধিনায়ক নিয়ে টেস্ট খেলতে যাবে পাকিস্তান।
ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান। তার আগেই অধিনায়ক ঠিক করে ফেলতে চায় পিসিবি। তরুণ নেতৃত্ব খুঁজছে তারা। ক্রিকইনফোর খবর, সীমিত ওভারের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম কিংবা উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাঁধে দেওয়া হতে পারে পাকিস্তানের টেস্ট দলের নেতৃত্ব।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইটটি এও জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান দেখা করেছেন আজহারের সঙ্গে। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি দেখা করবেন এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে।
অবশ্য পিসিবির বড় দুই কর্তা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়ক বদলের। প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান এক টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছিলেন, আগামী ১১ নভেম্বরের সভায় আজহারের ভবিষ্যৎ ঠিক করা হবে। এছাড়া মিসবাহ-উল-হকের ছেড়ে দেওয়া প্রধান নির্বাচদের পদে নতুন কাউকে খুঁজছে তারা।
গত বছরের অক্টোবরে সরফরাজ আহমেদকে সরিয়ে টেস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় আজহারকে। ১২ মাসের মাথায় নেতৃত্ব তার হুমকির মুখে। এই সময়ে আজহারের নেতৃত্বে পাকিস্তান ২-০ ব্যধানে হারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারতে হয় ১-০ ব্যবধানে।তার জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে বাবর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি সামলাচ্ছেন পাকিস্তানের সাদা বলের নেতৃত্ব। এছাড়া রিজওয়ানও আছেন তালিকায়। কেপিকের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে বরং এই উইকেটকিপার আজহারের জায়গায় বসার দৌড়ে একটু এগিয়েই রয়েছেন।