আবারো ব্যাংকে সাইবার হামলার শঙ্কা

0

বর্তমতান সরকারের অগ্রাধিকারগুলোর অন্যতম দেশকে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেওয়া। এরই মধ্যে দেশ ও খাতে যথেষ্ট এগিয়ে গেছে। শহরের সীমা ছাড়িয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির মোবাইল, ইন্টারনেট গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির নানা সুফল ক্রমেই মানুষের সহজলভ্য হচ্ছে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইম বা তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধের পরিমাণও দ্রুত বেড়ে চলেছে। নিরীহ মানুষের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের অপরাধের শিকার হচ্ছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবচেয়ে বড় ধরনের অপরাধের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আট কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই অর্থ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার একটি চক্র জড়িত ছিল বলে এফবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে। এ ধরনের ঘটনার অভিজ্ঞতা বাংরাদশের জন্য ছিল এটিই প্রথম। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে আবার সাইবার হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাংকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে সব ব্যাংক চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা জারি করার পর ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাংকিং সীমিত ও তদারকি জোরদার করেছে। গত মাসে দেশের আর্থিক খাতের অনলাইন সিস্টেমে একটি ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার বা ভাইরাসের সন্ধান পায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হয়। খবরে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের কারণে সুইফট নেটওয়ার্ক বন্ধ আছে মর্মে প্রকৃত কোম্পানির ছদ্মবেশ ধরে একই নাম, ওয়েবসাইট, ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে প্রতারকরা।
অন্যদিকে, মোবাইল ব্যাংকিংয়েও প্রত্যারণার ফাঁস পেতেছে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পরিচয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারীদের কাছে ফোন করে বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। চাওয়া হয় পাসওয়ার্ড ও টাকা। গত মাসে এ ধরনের প্রতারণার জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করাহয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। অপরদিকে, অনলাইন কেনাবেচা এখন পুরোপুরি প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েছে। ৯৫ ভাগ ক্রেতাই অভিযোগ করছেন অনলাইনে দেখানো পণ্যের সাথে কুরিয়ারে পাওয়া পণ্যের মিল থাকছে না। এদেরও ধরা প্রয়োজন। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাবিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।