সিনোভ্যাকের ট্রায়াল আরো অনিশ্চিত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কথা ছিল বিনামূল্যে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাবে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক। কিন্তু ট্রায়ালের অনুমতি পেতে লেগে যায় দীর্ঘ দিন। যখন অনুমোদন মেলে তখন ট্রায়াল চালাতে অর্থ সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয় কোম্পানিটি। কিন্তু এব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ। যে কারণে সিনোভ্যাকের ট্রায়াল নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে বহুগুণ। বলতে গেলে ট্রায়ালের সম্ভাবনা খুবই কম। শুধু অর্থই অবশ্য প্রধান কারণ নয়। সিনোভ্যাককে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া নিয়ে পর্দার আড়ালে ঘটে বহু ঘটনা। ভূ-রাজনীতি রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া-না দেয়া নিয়েও ঘটে নানা ঘটনা। যে কারণে সিদ্ধান্ত আসতেও অনেক সময় লাগে।
কো-ফান্ডিং এর বিষয়টি নিয়েই এখন অবশ্য বেশি আলোচনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রের টাকা তো কাউকে দেয়া যায় না ইচ্ছে করলেই। সিনোভ্যাকের চিঠির জবাবে আমাদের এরকম কোনো রেসপন্স নাই। তারা যদি নিজেদের মতো করে আসে তাহলে আসবে। সিনোভ্যাক কিন্তু বলেছে একটু দেরি হলেও তারা আসবে। তিনি বলেন, আমাদের সরকারি কোনো টাকা কো-ফান্ডিং করে কিছু করার সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নেইনি। সিদ্ধান্ত নেয়া এখনো হয়নি নাকি টাকা না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত না হওয়াও একটা সিদ্ধান্ত। সিনোভ্যাকের ট্রায়ালের সুযোগ আছে মন্তব্য করে আব্দুল মান্নান আরো বলেন, আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি আরো। সিনোভ্যাক কিন্তু বলেছে?বাংলাদেশ থেকে টাকা না পেলেও আমরা একটু দেরি হলেও কাজ (ট্রায়াল) করবো, আমরা পিছিয়ে যাবো না।
প্রসঙ্গত, গত ২৪শে সেপ্টেম্বর চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়কে। সেখানে কোম্পানিটি তাদের ‘অর্থনৈতিক ক্রাইসিস’-এর কথা জানিয়ে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশ সরকারকে ‘কো-ফান্ডিং’ করার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ হিসেবে তারা চিঠিতে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে তাদের। চিঠিতে সিনোভ্যাক বলেছে, আমাদের কাছে যে ফান্ড ছিল তা অন্যান্য দেশে ট্রায়ালের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে ট্রায়াল করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমাদের হাতে নেই। আমরা এই তহবিল অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের প্রথম ভাগে কিছুটা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। যদিও বাংলাদেশে ট্রায়াল পরিচালনার জন্য আমাদের তহবিল গঠনের যৌথ অংশীদার প্রয়োজন। ট্রায়াল শুরুর বিষয়ে সিনোভ্যাক জানিয়েছে, আমাদের প্ল্যান ছিল আগস্টের শুরুতে ট্রায়াল শুরু করার। কিন্তু অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় আমাদের ফান্ড অন্য দেশে ট্রায়ালের জন্য দিয়ে দেই। একইসঙ্গে আমরা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবো কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। বাংলাদেশ সরকার সিনোভ্যাককে ট্রায়ালের অনুমতি দেয় গত ২৭শে আগস্ট।