ভোমরা বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে ৪০ গুণ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে ৪০ গুণেরও বেশি। এ সময়ে বন্দরটি দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ২৬৬ টন। এর মধ্যে জুলাইতে ৫ হাজার ১৩০ টন, আগস্টে ৪ হাজার ৬৪ টন এবং সেপ্টেম্বরে ৫ হাজার ৭২ টন আমদানি হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এ বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল ৩৮৩ টন।
ভোমরার কাঁচামরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন মাস্টার জানান, দেশীয় বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠান কাঁচামরিচ আমদানি বাড়িয়েছে। প্রতিদিন গড়ে চার-পাঁচ ট্রাক মরিচ আমদানি করছেন তিনি। এক কেজি মরিচের আমদানি মূল্য পড়ছে ১৪৪-১৪৫ টাকা, যা দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচামাল ক্রয়-বিক্রয় আড়ত মেসার্স আবির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, সম্প্রতি কাঁচামরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। গতকাল তার প্রতিষ্ঠানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকা দরে। তার পরও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল। অন্যদিকে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মো. আব্দুল্লাহ জানান, আমাদের দেশের যেসব জেলা কাঁচামরিচের মূল উৎপাদনকারী, সেসব জেলায় এবার বন্যায় ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে কাঁচামরিচ। তবে যারা ক্রেতাসাধারণকে ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করবে, তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলায় ৪০৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে কাঁচামরিচ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ২৩০ হেক্টর, কলারোয়ায় ৩০ হেক্টর, তালায় ৬০ হেক্টর, দেবহাটায় ২০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ৪০ হেক্টর, আশাশুনিতে ১০ হেক্টর ও শ্যামনগরে ১৫ হেক্টর, যার উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮০ টন। তবে গত আম্পানে জেলার অধিকাংশ কাঁচামরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসলটির উৎপাদন ব্যাহত হয়।