সিলেটের পর নোয়াখালী সর্বত্র ক্ষোভ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক বর্বর ঘটনা নাড়া দিয়েছে সারা দেশে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীদের বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রভাবশালীদের এই অপকর্ম এক সময় আড়ালে ছিল। ভয়ে নির্যাতিত নারী বা তার পরিবার কোনো অভিযোগ পর্যন্ত করেনি। ওই নারীকে কু-প্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এটি ভাইরাল হয়ে পড়লে সর্বত্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানীর শাহবাগ। ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দুইজনকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওদিকে বর্বর ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্যাতিতা ও তার পরিবারকেও নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ: নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ সারা দেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন সম্মিলিত ছাত্র-জনতা। গতকাল সেখানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের বিচারহীনতায় নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা লোকজন জড়িত। নোয়াখালীর ওই ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতোদিন রাষ্ট্র, এই সরকার কী করেছে? এভাবে আর চলতে পারে না। সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আহ্বানে গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। এর একটু পর ছাত্র ইউনিয়ন ও ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’-এর ডাকে গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলো বিক্ষোভকারীরা। এ সময় শাহবাগ মোড়ে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্ষকদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মানুষ তুমি চুপ কেন?’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি চলে ধর্ষণবিরোধী পারফরমেন্স আর্ট, কবিতা আবৃত্তি ও মূকাভিনয়।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশে নেত্রকোনার নেত্রী মাকসুরা আক্তার বলেন, রাস্তায় নেমে আসতে হবে। সরকারকে জানান দিতে হবে এভাবে আর চলতে পারে না। এই সরকারের কাছে মা-বোন সুরক্ষা পাচ্ছেন না। কেন আমার মা-বোনরা একে একে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন। বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ধর্ষিত হয়েছি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। সে সময় সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার হয়নি। দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই রাষ্ট্রে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির বিচার হয় না। ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা শহীদুল হক বলেন, প্রতিবারই আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামি, তারপর টনক নড়ে। এবার নোয়াখালীর নারী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতোদিন কিছুই হয়নি জড়িতদের। যখন বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, প্রতিবাদ শুরু হলো তখন টনক নড়লো। ধর্ষক গ্রেপ্তার হলো। এই গ্রেপ্তারের ছবি কাদের সঙ্গে দেখা যায়, সরকারদলীয় লোকজন, স্থানীয় এমপি’র সঙ্গে। আমরা মানবিক রাষ্ট্র চাই। মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় মানবিক পুলিশ চাই। তিনি বলেন, এই ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে না। ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ধর্ষণের প্রোগ্রামে হামলা এর চেয়ে বড় দুঃখজনক আর হতে পারে না। আমরা ধর্ষণের প্রতিবাদ করি আর আমাদের বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকি দেয়। আজ নারায়ণগঞ্জে আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। যে জন্য সারা দেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে কোনো ধর্ষকের বিচরণ নেই। শাহবাগে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রেখেছেন। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা শাহবাগ চার রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের দলীয় কর্মীরা এসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। গত দুই মাসে সরকারদলীয় কর্মীরা কমপক্ষে ১৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিচার না হওয়ায় তারা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নারী সংহতির সদস্য নাসরীন আক্তার বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এভাবে নারীর ওপর নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, প্রশাসন ও দুষ্কৃতকারীদের জবাবদিহি নেই বলেই এমন ঘটনা দেশে বারবার ঘটছে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ঘটেই চলেছে। সিলেটের এমসি কলেজ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য ঘটনা দেশে ঘটছে। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে তা বের করে নির্মূল করতে হবে। এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাদুঘরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের দুর্বলতার কারণেই ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক দুর্নীতিবাজ এই সরকার এখনো ক্ষমতায় টিকে আছে। এখন আর সময় নেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন ঐক্যবদ্ধ লড়াই প্রয়োজন এ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। নুরুল হক নুর বলেন, ৩১শে ডিসেম্বর নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী এক নারীকে ধর্ষণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ধর্ষকরাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর গণধর্ষণ করেছে। এই ধর্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। ৩০শে ডিসেম্বরের ব্যালট ডাকাতির মাধ্যমে এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কবর দিয়েছে তারা। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় থাকার ফলে প্র্যাকটিসের জায়গায় একটি দুর্বৃত্তায়নের শ্রেণি তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধর্ষণ করে আর আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে। তাদের ১৪ বছরের অর্জন হচ্ছে এই। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মশিউর রহমান, তারেক রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, সদস্য সচিব ফরিদুল হক প্রমুখ।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টায় শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। সেখান থেকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন তারা। অন্যদিকে, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ১০টায় সকলেই কালো কাপড় চোখে বেঁধে সামাজিক মাধ্যমে ছবি আপলোড করার আহ্বান জানিয়েছে দলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে কয়েকজন যুবক। এসময় ওই গৃহবধূ নরপিশাচদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে তাদের ‘বাবা’ ডেকে ও পায়ে ধরেও রেহাই পাননি। শুধু নির্যাতন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে পাষণ্ডরা। ঘটনাটি গত ২রা সেপ্টেম্বর ঘটলেও প্রকাশ পায় গত রোববার। ওই রাতেই নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বাদী বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জেরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। দীর্ঘদিন পর গত ২রা সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান তার স্বামী। সেদিন রাত ৯টার দিকে আসামিরা তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর স্বামীকে মারধর করে পাশের আরেকটি ঘরে নিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিলে আসামিরা তাকে নির্যাতন শুরু করে। এসময় তাদের একজন নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা কাউকে কিছু জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ওই নারী কাউকে কিছু না জানিয়ে জেলা শহরের মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেও আসামিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ‘কুপ্রস্তাব’ দেয়। রাজি না হলে সেই রাতের ভিডিও তারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ওই গৃহবধূ তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আসামিরা রোববার দুপুরে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূতেই ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক একজন গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। তাদের একজন পা দিয়ে গৃহবধূর মুখ চেপে ধরেছে। আর গৃহবধূ নিজেকে রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। কিন্তু নির্যাতনকারীরা তার পোশাক কেড়ে নিয়ে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হামলাকারী কিশোরদের ‘বাবা’ বলে ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। এরপরও তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং এক যুবক কয়েকবার তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায়। বারবার আকুতি জানানোর পরও নির্যাতন বন্ধ করেনি তারা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বোনের বাসা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশীদ জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। সেখানে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- বেগমগঞ্জের মধ্যম একলাশপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মোহর আলী মুন্সী বাড়ীর সাবেক পিতা সাহাব উদ্দিন ও বর্তমান পিতা রহমত উল্যার পুত্র মো: বাদল (২২), জয়কৃষ্ণপুর খালপাড় হারিসন ভূঁইয়া বাড়ির মো. রহিম (২০), জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের জুলফিকার আলী বাবুলের পুত্র আবুল কালাম (২২), মধ্যম একলাশপুর মোহর আলী মুন্সী বাড়ির আমিন উল্যাহর পুত্র ইসরাফিল হোসেন মিয়া (২২), একলাশপুরের ৪নং ওয়ার্ডে নওয়াব আলী ব্যাপারী বাড়ীর লোকমানের পুত্র সাজু (২১), একলাশপুর ৪নং ওয়ার্ডের দরবেশ আলী বাড়ির নেয়ামত উল্যাহর পুত্র সামছুদ্দিন সুমন (৩৯), একলাশপুর কচির দোকান এলাকার মৃত আবদুল জলিলের পুত্র আবদুর রব চৌধুরী মিয়া প্রকাশ লম্বা চৌধুরী (৪৮), একলাশপুর ৪নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ীর মৃত মোস্তফা মিয়ার পুত্র আরিফ (১৮). ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যেম একলাশপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিম ও সুফিয়া খাতুনের পুত্র রহমত উল্যা (৪১) সহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জন।