তালিকা ফাঁস হতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন নেতা-কর্মীরা

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে এই তালিকা পাঠানো হলেও অনেকেই জানতে পেরেছেন কে কোন পদে আসছেন। এরপর থেকেই চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, একাধিক হত্যা মামলার আসামি, অস্ত্র মামলার আসামি, সন্ত্রাসীরা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ খুলনার সর্বত্র। কমিটিতে স্থান না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও খোলা চিঠি দিয়েছেন বঞ্চিত নেতারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, কেন্দ্র থেকে চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার জন্য নগর ও জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশের পর খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কমিটি গঠনের শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে নিরসন হয়। সেসময় নগর কমিটি নিয়ে কোনো উচ্চ-বাচ্চ না হলেও বর্তমানে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। একজন আরেকজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কেন্দ্রে প্রেরিত কমিটিতে টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী, হত্যা মামলার আসামি, অস্ত্র মামলার আসামিদের স্থান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নগরীর খালিশপুর দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। শিল্পাঞ্চল খ্যাত এই এলাকার কাউকে গত ২০ বছরে শীর্ষ কোনো পদে রাখা হয়নি। ফলে এই এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের আহ্বায়ক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলমান দালালি রাজনীতির কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটিতে আসতে পারছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির বিষয়ে খোলা চিঠিও দিয়েছেন। তবে পরিচ্ছন্ন দলের জন্য ত্যাগী ও যোগ্যদের পদ পদবী প্রদানের সুপারিস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। তিনি বলেন, কমিটিতে কোনো টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের স্থান দেয়া হয়নি। শিল্পাঞ্চলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। যারা এসব বানোয়াট কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক ও আমি সমন্বয় করেই কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।