মনিরামপুরে ভালো দামে খুশি পাট চাষিরা

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাটের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে ভালো দাম খুশি হয়েছেন কৃষক। সূত্রে জানা গেছে, যে সব কৃষক চৈত্র মাসে আগাম পাট চাষ করেছিলেন তাদের বিঘা প্রতি ১০/১২ মণ করে উৎপাদন হয়েছে। উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নে হানুয়ার গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে আসাদুল এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি চৈত্র মাসে ৫বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। তার ওই পাট জমি থেকে কেটে বেঁধে জাগ দেওয়ার পর আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত ঘরে উঠতে মোট ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তার পাট হয়েছে ৪৭মণ। অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে পাটখড়ি বিক্রি করেছেন ৪০হাজার টাকায়। ২২শ টাকা দরে ৪৭মণ পাট ১ লাখ ৩ হাজার ৪শ টাকা বিক্রি করে খুশি হয়েছেন কৃষক আসাদুল। একই গ্রামের মৃত ফজলুল করিম মোড়লের ছেলে রুহুল আমিন মোড়লের আগাম ৩বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ঘরে উঠানো পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। তার ৩০মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। আরও লাভের আশায় পাট বিক্রি না করে তিনি মজুদ করে রেখেছেন। তিনি ১৬হাজার টাকার পাটখড়ি বিক্রি করে অর্ধেক খরচ উঠিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া একই ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান ও ওই ওয়ার্ডের সদস্য সাহাদুল ইসলামসহ অনেকে জানিয়েছেন তাদের আগাম চৈত্র মাসের পাট চাষ করে বিঘা প্রতি ১০/১২ মণ উৎপাদন হয়েছে। পাটের দাম গত বছরের থেকে এ বছর বেশি দামে বিক্রি করে তারা লাভবান হয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে জানা গেছে, সোনালী রংয়ের লাল পাট বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ২৩শ থেকে ২৪শ টাকা। অন্যদিকে কালো রং পাট বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ২হাজার থেকে ২১শ টাকা। রাজগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় দেশে পাট উৎপাদন কম হয়েছে। সে জন্য বাজারে আমদানি না হওয়াতে গত বছরের থেকে বর্তমানে দাম বেশি। এছাড়া করানো ভাইরাসের জন্য পাটকলগুলো বন্ধ ছিল। বর্তমানে কিছু পাট কল খুলে দেওয়াতে পাটের চাহিদা থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মনিরামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে. এ উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নে এ মৌসুমে পাট চাষের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০হেক্টর জমিতে।