যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল জিডিএল থেকে স্থানান্তরের পর মানুষের করোনা ঝুঁকি বেড়েছে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের এক পাশে বেসরকারি জিডিএল-এ কোভিড-১৯ হাসপাতালটিই ছিল ভাল। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর সাধারণ মানুষের করোনা ঝুঁকি আরও বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সাবেক মহিলা সার্জারি ওয়ার্ড (২য় তলা) এবং সাবেক মহিলা গাইনি-পেয়িং ওয়ার্ড (৩য় তলা) করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে করা হয়েছে কোভিড-১৯ ইউনিট। হাসপাতালের মধ্যবর্তী স্থানে এ দুটি ওয়ার্ডের অবস্থান। ৩য় তলার ওয়ার্ডটি শিশু এবং ২য় তলায় আইসিইউ ওয়ার্ডটির অবস্থান অপারেশন থিয়েটারের মুখোমুখি। ভবনের এক সিঁড়ি দিয়ে সকলের ওঠানামা করতে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের সামনে সিঁড়ি সংলগ্ন দেয়া হয়েছে হার্ডবোর্ডের প্রটেকশন। উপরে নিচে ও পাশের সব জায়গায়ই ফাঁকা। করোনাভাইরাস ঠেকানোর মতো অবস্থা নেই সেখানে। অথচ, প্রয়োজনের তাগিদে সেখানে সকলের অবাধ চলাচল রয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্তদের দেখভাল করা লোকজন ও অন্যান্য ওয়ার্ডের রোগী এবং দর্শনার্থীরা একই সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করছেন। আবার হাসপাতাল ভবনের উত্তরে সংক্রমণ ওয়ার্ড দক্ষিণে একতলা ভবনে রয়েছে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড। যেখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেহে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। ফলে, হাসপাতালের উত্তরে-দক্ষিণে এবং মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে করোনা রোগী ভরা। এরই মাঝে রয়েছে অর্থো-সার্জারি, মেডিসিন, পেয়িং, অপারেশন থিয়েটার ও শিশু ওয়ার্ডের মতো সাধারণ রোগীর ওয়ার্ড। যেখানে চিকিৎসা নিতে আসলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা ও ঝুঁকি রয়েছে। এতে শুধুমাত্র যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার ঘটার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন যশোরবাসী। অনেকে ভয়ে হাসপাতালের দিকে যাতায়াত করা করা ছেড়ে দিয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কর্মকান্ড নিয়ে সাধারণের মাঝে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনা শুরু হয়েছে সচেতন মহলের। মানুষকে করোনাভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য শহরের এক পাশে শংকরপুরে বেসরকারি হাসপাতাল জিডিএল-এ গত জুন মাসে করা হয়েছিল ডেডিকেটেড বা কোভিড-১৯ হাসপাতাল চলতি মাসে জিডিএল থেকে শহরের আবাসিক এলাকা যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কোভিড-১৯ হাসপাতাল স্থানান্তর করার কারণে মানুষের ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে।