সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে কোচিং পরিচালনার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

0

খুলনা ব্যুরো ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকারের চলমান বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পল্লীতে কোচিং পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ফরিদুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক প্রতি মাসে জনপ্রতি ৫শ’ টাকা চুক্তিতে পঞ্চম শ্রেণি’র কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে জড়ো করে কোচিং করাচ্ছেন। এদিকে, বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার ফরমাইশখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কোলাহল। নেই কোন মাস্ক বা নিরাপদ দূরত্বের বালাইও। একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম সেখানে কোচিং পরিচালনা করছেন। সেখানে তাৎক্ষণিক ১৪ জন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও এই কোচিংয়ে আরও অনেক শিক্ষার্থীর যাতায়াত রয়েছে বলে জানা গেছে। শিশু শিক্ষার্থী তামিম, সিরাজুল ইসলাম ও রিয়াসহ অন্যরা জানায়, তারা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কোচিং করে। বিনিময়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫’শ টাকা করে নেন শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। এদিকে ফরিদুল ইসলাম কোচিং করানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাকে পড়াতে বলেছেন। বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। তবে, প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা হুসাইন বলেন, সহকারি শিক্ষক ফরিদুল ইসলামকে বাচ্চাদের অনলাইনে কাস করানোর কথা বলা হয়েছিল। কোচিং করাতে বলা হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন বলেন, যেখানে স্কুলই বন্ধ রয়েছে, কাস হচ্ছে না-সেখানে কোচিং করানোর কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে রিপোর্ট করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, কোচিং করার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।