যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন বন্দি হত্যা : ১০ দফা সুপারিশ রেখে মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন জমা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দি হতাহতের ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঘটনার কারণ, কার ওপর দায় বর্তায় এবং পরবর্তী করণীয় কী ছিলো এসব তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি। সেই সাথে প্রতিবেদনে ১০ দফা সুরারিশ রাখা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) কর্মকর্তা ও তাদের অনুগত বন্দিদের পৈশাচিক নির্যাতনে নিহত হয় ৩ বন্দি কিশোর। আহত হয় আরও ১৫ বন্দি কিশোর। দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনা তদন্তে সমাজসেবা অধিদফতর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আলাদা দুটি কমিটি গঠন করে। সমাজসেবা অধিদফতর গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ছিলেন ওই দফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ মো. নুরুল বাসির ও উপ-পরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এম এম মাহমুদুল্লাহ। এই কমিটির সদস্যরা যশোরে এসে উল্লিখিত ঘটনার তদন্ত করেন। পরে ঢাকায় ফিরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যের অপর কমিটির আবহায়ক করা হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছকে। এই কমিটির অপর দুই সদস্য যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল গোলাম রব্বানী ও জেলা সমাজসেবা অধিদফদতরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা। এই কমিটির সদস্যরা সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে আটক শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিটি। যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেটের সাথে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ এ বিষয়ে বলেন, তারা ঘটনার কারণ, কার ওপর এর দায়দায়িত্ব বর্তায় এবং ঘটনার পরে কী করণীয় ছিলো এসব অনুসন্ধান করেছেন। সেই সাথে তারা তদন্ত প্রতিবেদনে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বিষয়ে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন। অবশ্য এছাড়া তদন্তের বিষয়ে আর মন্তব্য করতে চাননি তিনি।