কাছে না গিয়েও যে প্রযুক্তির মাধ্যমে চীনা সেনাদের পিছু হঁটতে বাধ্য করল ভারতীয় সেনারা!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই নেপাল-ভুটান সীমান্তে নতুন করে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। লাইন-অব-অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়ে চিন্তা কমছে না। হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে। তবে চীনের পরিকল্পনা ভাঙতে নানা কৌশল সাজিয়েছে ভারত। প্যাংগং লেকে ৩১ আগস্ট ব্ল্যাক টপ এবং হেলমেট টপে হামলা চালায় চীনা সেনা বাহিনী। তবে দূর থেকেই তা ধরে ফেলতে সক্ষম হয় ভারতীয় সেনারা। চীনের অনুপ্রবেশের কার্যকলাপ খুব একটা সফল হতে দেয়নি ভারতীয় সেনার মেগাফোন। দূর থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে ভারতের সশস্ত্র সেনাবাহিনী।
প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ব্ল্যাক টপে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখান থেকে গোটা এলাকাকে নজরে রাখছে ভারত। তবে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করেছে বলেই দোষারোপ করছে চীন সেনা বাহিনী। তবে তা ধোপে টেকেনি। মে মাস থেকে টানা সংঘাতের পর ব্যাকফুটে রয়েছে চীন। ফিংগার-৩ এবং ফিংগার-৪ থেকে ফিংগার-১ এলাকা থেকে ভারতের সেনা বাহিনীকে সরে যেতে বলা হয়। তবে চীনের একের পর এক মিথ্যা আর কাজে লাগবে না।। কারণ চীনের সেনা যে একাধিক জায়গা থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
সুত্রের খবর, ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশকেও এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখন্ড, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ এবং সিকিম, এমনকি ইন্দো-নেপাল এবং ভুটান সীমান্তে নজরদারিতে কর্মরত সশস্ত্র সীমা দলকেও সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। চীনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সফল হয়েছে ভারত। নতুন করে দুই দেশের চাপ বাড়ায় মিলিটারি স্তরে বৈঠক শুরু হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার এই দু’দিনের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনও ফলাফল আসেনি।
এদিকে, চীনের নতুন উসকানির চরম বিরোধিতা করে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। আমেরিকান ইন্ট্যালিজ্যান্সের অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার ভারতকে উসকানিমূলক কাজে জড়িয়েছে। আমেরিকাও লক্ষ্য করে জানিয়েছে, চীন দেশের ভেতর এবং বাইরে টানা আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে। লাইন-অব- অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের পরিস্থিতিতে লক্ষ্য রাখছে আমেরিকা। সিকিমের ট্রাই-জাংশান এলাকা অর্থাৎ যেখানে ভারত, চীন ও তিব্বত মিলেছে, সেই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। ডোকলামের দক্ষিণে রয়েছে এই এলাকা। ২০১৭ সালে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে এই ডোকলামেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনীর। উত্তরাখণ্ডের কালাপানি এলাকাতেও ভারতীয় সেনা বাহিনীকে অতিরিক্তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: কলকাতা২৪