রাজগঞ্জ বাজারে কাঁচা মরিচে আগুনের ঝাঁঝ, মানুষ বিপাকে

0

রাজগঞ্জ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে হঠাৎ কাঁচা মরিচে আগুনের ঝাঁঝ লেগেছে। ফলে মরিচ ক্রয় মতার বাইরে চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অধিকাংশ মরিচের তে নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় মরিচের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের অন্য জেলা থেকে কাঁচা মরিচ অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করে এ বাজারে এনে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এতে এক লাফে দাম বেড়ে কেজি প্রতি পাইকারি ও খুরচা বাজারে ১৮০ থেকে ২ শ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, একদিন আগে যে মরিচ কেজিপ্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল বর্তমানে দাম বেড়ে ২৮০ থেকে ৩ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, এ বাজারে হঠাৎ মরিচের সংকট দেখা দিলে তিনি ফরিদপুর জেলার মধুখালী থেকে চড়াদামে মরিচ ক্রয় করে আনেন। যা অন্যান্য খরচসহ কেজিপ্রতি ২২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তিনি সেই মরিচ পাইকারি বিক্রি করছেন ২৫০টাকা কেজিদরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা এ দামে মরিচ কিনে একশ গ্রাম ৩০টাকা দরে বিক্রি করছেন। অপর ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জানান, তিনি মধুখালী থেকে কাঁচামরিচ ক্রয় করে আনেন। মরিচ বাজারে এনে কেজিপ্রতি ২০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন। কিন্তু কিছু মরিচ পঁচে নষ্ট হওয়ায় বেশি লাভ হয় না। তিনি আরো জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ যদি আমাদের বাজারে আসত তাহলে দাম অনেকটা কমে যেত। এদিকে হয়াতপুর গ্রামের কুদ্দুস ও ঝাঁপা গ্রামের ফারুক হোসেন জানান, তারা ১০ কাঠা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছিলেন। েেতর গাছে কেবলমাত্র ফুল ও মরিচ ধরেছিল। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মরিচ গাছ মরে গেছে।
এদিকে মনিরামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, তাদের তথ্য মতে এ উপজেলায় মাত্র ৬২ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য উৎপাদন কম ও জনসংখ্যার দিক থেকে চাহিদা পূরন না হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা নতুন করে কাঁচা মরিচের চাষ করলে আগামী শীত মৌসুমে এ সংকট কেটে যাবে।