মহেশপুরে এক ডাক্তারের হাতেই তিন প্রসূতির মৃত্যু কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃঝিনাইদহের মহেশপুরে এক ডাক্তারের হাতেই তিন প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রধান শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিভিল সার্জন ৭ দিন আগেই এ সব ক্লিনিক বন্ধ করার চিঠি দেন। কিন্তু ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়নি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে গত ৬ আগষ্ট মহেশপুরের নেপার বাজারের মোহন লালের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে সিজার করার পর লাবনী আক্তার নামে এক প্রসুতির মৃত্যু ঘটে। দুই দিন পর একই বাজারের নাজমুল হাসান মনুর মালিকানাধীন মা ও শিশু ক্লিনিকে মারা যায় মরিয়ম খাতুন। এর কিছুদিন পর মহেশপুর শহরের সুবাশ চন্দ্র দাসের মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের পর মারা যায় রিনা খাতুন। তিন ক্লিনিকেই অপারেশন করেন ডাঃ সোহালে রানা নামে তথিত এক চিকিৎসক। তিনি বাগেরহাট শহরের পিসি কলেজ রোড এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে ডাক্তারী সনদসহ ডাঃ সোহেলকে হাজির হতে বলা হলেও তিনি আসেননি। লোক মারফত এটাসটেড বিহীন কাগজপত্র ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তার জমা দেওয়া কাগজপত্র ঘেটে দেখা গেছে ডাঃ সোহেল রানা ২০০৫ সালে খুলনা মেডিকেল থেকে ইন্টার্নি করেছেন। তার বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নং ৪০৭১১। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই তিন ক্লিনিক বন্ধ রাখার জন্য গত ২০ আগষ্ট সিএসঝি/১৬২৫ নাং স্মারকে চিঠি দেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম। কিন্তু মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনজুমান আরা বেগম ক্লিনিক বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ রাশেদ আল মামুন বৃহস্পতিবার জানান, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের পর সব জানা যাবে। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, চিকিৎসক নিয়ে কোন অবহেলা করলে কেও ছাড় পাবে না। বিশেষ করে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু মেনে নেওয়া হবে না। তিন প্রসুতি মৃত্যুর ব্যাপারে ডাঃ সোহেল রানা বলেন, আমি যথাযথ ভাবেই অপারেশন করেছি। অপারেশনে কোন ভুল ছিল না। পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ক্লিনিক মালিকরাই ভুল চিকিৎসা রোগী মেরে ফেলেছে। এর জন্য তো আমি দায়ী নয়।