হিলিতে কাঁচামরিচের কেজি এখন ১২৫ টাকা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম হু হু করে বাড়ছে। কোনোভাবেই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। দুদিন আগেই পণ্যটির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছিল। গতকাল এখানকার বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে আরো ১৫ টাকা বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ১২৫ টাকায়। স্থানীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া হিলির বাজারে কাঁচামরিচের টানা মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ। বৃষ্টি কমে আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলে কাঁচামরিচের দাম ফের কমে আসতে পারে।
গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে (ট্রাকসেলে) ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ মানভেদে ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুদিন আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা।
গত শুক্রবার হিলির পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছিল। গত সপ্তাহে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
স্থানীয় আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। সড়কপথের পাশাপাশি রেলযোগেও দেশে পণ্যটি আমদানি করা হয়েছে। ফলে বন্যার মধ্যেও দেশে কাঁচামরিচের দাম দীর্ঘদিন স্থিতিশীল ছিল। বর্তমানে ভারতের গুলডাঙ্গা, নাগপুর ও বিহার থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে কয়েকদিন ধরে গুলডাঙ্গা, নাগপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর জের ধরে শুধু বিহার থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে বিহারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৬০ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা)। বর্তমানে তা কেজিপ্রতি ৭৫ রুপিতে উঠেছে। এর সঙ্গে আমদানি শুল্ক যোগ করলে কাঁচামরিচের দাম অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। আমদানি সীমিত হয়ে আসায় হিলির পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে।