সর্বোচ্চ বৃষ্টি যশোরে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শনিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। এ সময়ে এ জেলায় ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর একই সময়ে সাতীরায় বৃষ্টিপাতের মাত্রা ৮৪ মিলিমিটার আর ঢাকায় ২৩ মিলিমিটার রেকর্ড হয়। এমন বৃষ্টি আরো কিছুদিন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার দিনভর যশোরে বৃষ্টি দেখা না গেলেও আজ রোববার ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস বলছে। যা যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল হয়ে কয়েকদিন বলবৎ থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস আভাস দিয়েছে। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শনিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যশোরে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার দিনে ও রাতে এ ভারি বৃষ্টিপাত হলেও গতকাল শনিবার দিনের বেলায় যশোরে বৃষ্টি হয়নি। তবে আজ রোববার যশোরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান। যা কয়েকদিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এমন বৃষ্টি চলমান থাকবে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। মাঝখানে ২৪ তারিখ বৃষ্টিপাত খানিকটা কমলেও শেষ হয়ে যাবে না। এখন যেমন সারাদিন হচ্ছে তখন হয়তো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও তা হালকা বিরাজমান থাকবে। পরে আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে তা অব্যাহত থাকবে আগামী ২৭-২৮ তারিখ পর্যন্ত। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসেবে যশোরসহ দেশের দণিাঞ্চলে অন্যান্য এলাকার তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হবে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কেশবপুর ও মনিরামপুর এলাকার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার সবজি ও সদ্য রোপণকৃত আমনক্ষেত ডুবে যাওয়াসহ মাছের ঘের, পুকুর, জলাশয় ভেসে গেছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। এসব এলাকার মানুষের ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে যশোরাঞ্চলের মাছের ঘের বা পুকুরের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে প্রকৃত ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের জন্য মৎস্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাসে যা শোনা যাচ্ছে তাতে সামনে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে কেশবপুর ও মনিরামপুর এলাকার বিশেষ করে ভবদহ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকা প্লাবিত হলে মাছ চাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে এই মৎস্য কর্মকর্তা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।