রামপালে প্রতিবন্ধি হাসিনার আর্তি জমি ও মৎস্য খামার ফেরৎ পাওয়ার আবেদন

0

এমএ সবুর রানা, রামপাল (বাগেরহাট) ॥ রামপালে একটি প্রভাবশালী মহলের মারপিট ও হুমকির মুখে গত ১৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধি নারী ও তার নিকট আত্মীয়দের জায়গা জমি এবং মৎস্য খামার জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে চন্দ্রাখালী গ্রামের মোঃ জাফর সরদারের স্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ভুক্তভোগী হাসিনা বেগমসহ কয়েকজন জমির মালিক খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন-নিবেদন করে প্রতিকার না পেয়ে আবারও অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার চন্দ্রাখালী মৌজার জে.এল ১৫৪ নং, সি.এস খতিয়ান ৯৪, এস.এ খতিয়ান ১৪৬, ১৪৭, আর.এস/বি.এস/ডি.পি ৩৫২, এস.এ দাগ নাং ৬৪৬, আর.এস/বি.এস/ডিপি ১২০০ ও ১২০৬ নং দাগের মোট ০.৭২ একর জমি দীর্ঘদিন প্রতিপক্ষ একই এলাকার মোস্তফা শেখ, বাচ্চু শেখ, ইউনুস শেখ, হানিফ শেখ, মাছুম শেখ, আরীফ আকন, ডাকরা গ্রামের আব্দুস সাত্তারসহ বেশ কয়েকজন ওই জমিতে থাকা মৎস্য খামারের হারির টাকা পরিশোধ না করে জোরপূর্বক দখলে রাখার চেষ্টা করে আসছেন। অভিযোগে আরও জানা যায় ওই জমিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে একাধিকবার প্রতিবন্ধি হাসিনার ভাই খেলাফাত হোসেনসহ বেশ কয়েক জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। ঘেরের হারির টাকা ও মাছ লুট-পাট করে এ পর্যন্ত প্রায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন বলে ও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যপারে অভিযুক্তদের সাথে কথা হলে তারা জানান ওই জমি দাবী করে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। সর্বশেষ এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সহকারি পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) মোঃ আসিফ ইকবাল এর মধ্যস্থতায় বিষয়টির মিট-মিমাংসা করে দেওয়া হয়। এর পরও ভুক্তভোগীরা প্রতিকার না পেয়ে আবারও অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও ভুক্তভোগীদের দাবী পূরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা পূর্ণরায় কোন অভিযোগ বা আমাদের কিছু জানাননি। ভুক্তভোগীরা যাতে তাদের জমির পূর্ববর্তী হারির টাকা আদায় ও মৎস্য ঘেরটি শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখল করতে পারেন সে জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।