স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি নেই :যশোরে করোনায় আক্রান্তরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না : মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

0

বি এম আসাদ ॥ যশোরে করোনায় আক্রান্তরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। বেপরোয়া চলাফেরায় তারা ভাইরাস ছড়াচ্ছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। করোনায় আক্রান্তরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে কতটুকু চিকিৎসা পাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বাসা বাড়ি ১৪ দিনের জন্য লক ডাউন করে রাখা হচ্ছে। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর খোঁজ নেয়া হচ্ছে না। হাতে গোনা কিছু রোগী ছাড়া অন্যরা চিকিৎসকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনেও সেবা নিতে পারেন না। অনেকে জানেন না মোবাইল ফোনে চিকিৎসা নেতে কিংবা ওষুধের নাম লিখতে। এসব কারণে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে রোগীদের অসচেতনতা ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে করোনার বিস্তার ঘটছে। তারা লকডাউন মানছেন না। অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে ওষুধ কিনতে বাইরে যাচ্ছেন। আবার কেউ অন্য প্রয়োজনে লকডাউন ভঙ্গ করছেন। খেতখামার হাটবাজারে যাচ্ছেন, মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। শারীরিক সক্ষমতা থাকার কারণে আক্রান্তরা করোনাকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। ফলে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন নজরদারি ও কড়াকড়ি নেই। অথচ বারংবার সভা হচ্ছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির। সভায় সিদ্ধান্তও নেয়া হচ্ছে যথাযথভাবে কার্যকর করার। কিন্তু তা হচ্ছে না। কোভিড-১৯ হাসপাতাল এবং আইসোলেশনে থাকা রোগীদের ভালমানের খাবার ও যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রেও প্রশ্ন রয়েছে। সবমিলে করোনায় আক্রান্তদের প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের যেমন অবহেলা রয়েছে, তেমনি আক্রান্তদের রয়েছে স্বাস্থ্য বিধি না মানার প্রবণতা। এ অবস্থায় যশোরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত যশোরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১শ’ ৪ জন। ৩০ জুন এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫শ’ ৯৯ জনে। এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪শ’ ৯৫ জন। ১ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয় ৬শ’ ৪১ জন। জুলাই-আগস্টে এসে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নেয়। এ ব্যাপারে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে ঠিকই। চিকিৎসার ব্যাপারে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের কাছে খোঁজ নেব। পুলিশও খোঁজখবর নিচ্ছে।