বাজার ঊর্ধ্বমুখী

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর বাজারে এ সপ্তাহে আবারো প্রতি কেজি আলুতে বেড়েছে ৫ টাকা। চালের দামও গত এক মাসে প্রতি কেজিতে অন্তত ২ টাকা বেড়েছে। সবজির দাম কমছে না, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজার উর্ধ্বমুখী রয়েছে। সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় ভালোমানের ইলিশের দামও গত সপ্তাহ থেকে বাড়তি। গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি ৪৫০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে এ সময় খাসির মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলুর চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের বড়বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন চাষির হাতে আলু না থাকা এবং বর্তমানে করোনাকালীন বিভিন্ন সংস্থার দেয়া ত্রাণ হিসেবে আলুর চাহিদা থাকায় বাজারে দাম বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতা বড়বাজারের বিপ্লব পাল জানান, ত্রাণের পণ্য হিসেবে আলু বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি, এজন্য দাম বেড়েছে। আড়তদার নিতাই চন্দ্র সাহা জানান, চাষিদের হাতে এখন আর আলু নেই। বর্তমানে বড় ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের নিয়ন্ত্রণে আলুর বাজার। চাহিদার কম যোগান আসায় বাজারে আলুর দাম বাড়ছে।
এদিকে বাজারে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকার পরও এক মাসের ব্যবধানে অন্তত প্রতি কেজি চালে ২ টাকা বেড়েছে। গতকাল বড়বাজারে কাজললতা চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাসখানেক আগে বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা দরে। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫০ কেজি দরে। মাসখানেক আগে বিক্রি হয়েছিল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা দরে। তাছাড়া অন্যান্য চালের দাম কমেনি। মোটা চাল স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, বাংলামতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা।
সবজির বাজারও মোটেই স্থির হচ্ছে না। বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতি হয়েছে সবজি ক্ষেতের। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য কলাবাগান। গতকাল বড়বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচকলা বিক্রি হয়েছে। বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মনিরামপুর ভান্ডারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা বাবলা জানান, তিনি এর আগে কোনোদিন দেখেননি বাজারে কাঁচকলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে। অনুরুপভাবে অন্যান্য সবজির ক্ষেতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে বেগুন,ওল, উচ্ছে যথাক্রমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, কচুরমুখী,কাকরোল , ঢেঁড়স, ঝিঙে যথাক্রমে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পটল, কুমড়ো, পেঁপে, শসা, লালশাক যথাক্রমে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০টাকা, আর জালি বা চাল কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বড়বাজার মাছবাজারে হঠাৎ করে ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে। গতকাল ভালোমানের এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ৮শ থেকে ৯শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন অমাবস্যার গোনে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। অন্যদিকে, কুরবানি ঈদের পর বড়বাজার কাঠেরপুলে গরুর মাংসের বাজারে ধস নেমেছে। ক্রেতার অভাবে তিন ভাগের দুই ভাগ মাংসের দোকান এখন বন্ধ রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে খাসির মাংসের দাম এ সপ্তাহে প্রতি কেজিত ৫০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ টাকা কেজি দরে। বাড়েনি ছাগীর মাংসের দাম। ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।