যশোরে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম, কমেছে চাল সবজি ইলিশের

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বড়বাজারে কাঁচা মরিচের দাম চড়া, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। গত এক সপ্তাহে আলুর কেজিতে তিন টাকা বেড়ে এখন ৩০ টাকা। কিছু সবজির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। এ সপ্তাহে সরু মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ইলিশ মাছের দামও প্রতি কেজিতে অন্তত ২০০ টাকা কমেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে যশোরের বড়বাজারের কাঁচাবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এবং মাছবাজার টাউন হল ময়দানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার ঈদগাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দরে। ২৭ টাকার আলু এক সপ্তাহে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৩৮, ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫, দেশি আদা ২৪০, আমদানি করা চায়না আদা ১৭০, দেশি ও বিদেশি রসুন ১০০ এবং শুকনো মরিচের কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে ২৪০ টাকা।
বাজারে গত সপ্তাহ থেকে বুধবার কিছু সবজির দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। উচ্ছে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। কুশি ৩০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। কচুরমুখি ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এদিন পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমার বিষয়ে সবজি বিক্রেতা মো. আলামিন বলেন, বেশ কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সবজির ক্ষেতে ফলন বেড়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যে ঘাটতি ছিল তা অনেকটা পূরণ হতে চলেছে। এসব কারণে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে বড়বাজার চাল বাজারে বুধবার সরু চাল মিনিকেটের দাম প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমে ৪৭ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে মিনিকেট বিক্রি হয়েছিল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। বিআর-২৮ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা। কাজললতা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা। এদিন মোটা চাল স্বর্ণার কেজি ৪০ থেকে ৪২ ও বাংলামতি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চালের দাম এ সপ্তাহে কেজিতে ২ টাকা কমার বিষয়ে যশোর চাল বাজার মালিক সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস লোকসমাজকে জানান, আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় হাসকিং মিলগুলো উৎপাদনে ফিরে গেছে। বাজারে চালের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে কিছুটা দাম কমেছে। অন্যদিকে টাউন হল ময়দানে ক্রেতা সংকটের কারণে মাছ বাজারে বেচাকেনায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। পাইকাররা (খুচরা মাছ বিক্রেতা) আড়ত থেকে অল্প পরিমাণ মাছ কিনে এনে বিক্রি করছেন। পাইকারদের মাছ কেনায় অনীহার কারণে আড়তদাররাও দাম কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বুধবার টাউন হল ময়দানে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৫০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৯৫০ টাকা। এদিন ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়।