খারাপ হচ্ছে যশোরের অবস্থা

0

বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের মহামারী রূপ এখন বিরাজ করছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় কমবেশি করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দৈনিক গড়ে তিন সহস্রাধিক আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হচ্ছে। এই সনাক্তের তালিকায় যশোর প্রায় দিনই উপরের সারিতে থাকছে। এরমধ্যে দু’দিনে আক্রান্ত হয়েছে শতাধিক। এনিয়ে যশোরে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪২ জন ছিল এই সময়ে যশোরে মারা গেছে ১৪ জন।
যশোরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয় পত্রিকাগুলো ইদানিং বেশ বড়ো বড়ো খবর প্রকাশ করছে। আসলেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কারণ যশোরে প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীা করা হচ্ছে তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হচ্ছে। সনাক্তের এই হার হিসাব করলে যশোরের বাস্তব অবস্থা অনুমান করা যায়। দেড়শো জন মানুষের নমুনা পরীায় যদি ৪২ বা ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয় তাহলে ৩২ লাধিক মানুষের নমুনা পরীার ফলাফল কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটাই আসলে শঙ্কার বিষয়। আমরা যতদূর জেনেছি তাতে যশোরের কোনো উপজেলা বা পৌর এলাকা করোনামুক্ত নয়। যেখানেই নমুনা নেয়া হচ্ছে সেখানেই করোনা সনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু কোথাও এখনো প্রয়োজনীয় বা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে বিপদের আশঙ্কা বেড়ই যাচ্ছে। ইতোপূর্বে আমরা এমন শঙ্কা প্রকাশ করে অধিক হারে পরীার প্রয়োজনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য নানা সমস্যা তুলে ধরার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তেমন উদ্যোগ নেননি। ফলে আক্রান্ত অনাক্রান্ত চিহ্নিত না হওয়ায় মিলেমিশে সবাইএকাকার হয়ে যাচ্ছে। চলমান বাস্তবতা তাই মারাত্মক বিপদের বার্তা দিচ্ছে।
আমরা মনে করি, এই বিপদ মুক্তির প্রধান পথ হচ্ছে সনাক্ত। যত শনাক্ত হবে ততই চিকিৎসা বাড়বে, চলাচল সীমিত হবে, মানুষ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে। এসবের ফলাফল অবশ্যই জনগণের নিরাপত্তার জন্য পজিটিভ হবে। আমরা তাই আবারও বলছি কোনো অজুহাতে বিলম্ব নয়, যে কোনো মূল্যে অধিক হারে পরীার মাধ্যমে আক্রান্ত অনাক্রান্ত পৃথক করে যশোরকে নিরাপদ করুন। মানুষকে আতঙ্কমুক্ত করুন। মনে রাখা প্রয়োজন করোনা কারও আপন নয়, কারো পরোয়াও করে না