‘করোনায় মৃত্যু’ বলে খাটিয়ে দিল না গ্রামবাসী, এলেন না স্বজনরাও

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ‘করোনায় মৃত্যু’ বলে দাফনকারী টিমকে কোন খাটিয়া দেওয়া হয়নি। আসেননি কোন স্বজনরা। অগত্যা গভীর রাতে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফনকারী কমিটি এ্যাম্বুলেন্সে রেখেইে মৃত ব্যক্তির নামাজে জানাজা সম্পন্ন করেন। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌরসভার মধ্যপাড়ায়। এই পাড়ায় মৃত রফিউদ্দীন মোল্লার ছেলে গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ (৫২) চট্টগ্রাম রেলওয়েতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি গত ২৯ জুন শৈলকুপার বাড়িতে আসেন এবং পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। গত বুধবার গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ কুষ্টিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাতে তার লাশ বাড়ি আসার পর কোন আত্মীয় স্বজন আসেননি। গ্রামবাসীরাও তার নামাজে জানাজা পড়ানোর জন্য একটি খাটিয়াও দেননি। অগত্যা ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফনকারী কমিটি মোর্শেদের লাশ এ্যাম্বুলেন্সে রেখেই জানাজার পর দাফন সম্পন্ন করে। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘দিন যতই যাচ্ছে, আমরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীর অসহযোগিতার কারণে আমরা শৈলকুপা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে লাশটি দাফন করতে সক্ষম হই।’ উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৬ জন করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়েছে।