উপনির্বাচনে করোনার প্রভাব নিয়ে যশোরে প্রার্থী ও রাজনীতিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে জাতীয় সংসদের যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে প্রার্থী ও রাজনীতিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন আগামী ১৪ জুলাই ওই আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। ধানের শীষের প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ করোনার সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার বলেন,মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। অপরদিকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, এ অবস্থায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হল। ধানের শীষের প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কা ব্যক্ত করে লোকসমাজকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের তারিখ ঘোষণার পর আমি আমার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিষয়টি জানিয়েছি। উনি আমাকে বলেছেন আগামীকাল রবিবার (আজ) দলের নীতি-নির্ধারকদের সাথে বসে এ বিষয়ে করণীয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ বলেন.‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি করোনাকালে এই জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা মোটেও সমীচীন হয়নি। মহামারির এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনতো দূরের কথা, কোনো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করাও সম্ভব না। এতে মানুষকে আরও বিপদের মুখে ফেলে দেয়া হবে। তবে দলের যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, সেই সিদ্ধান্তের প্রতি আমি আস্থাশীল থাকবো।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তাতে দেশে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থ হচ্ছে লোকজন। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে এ নির্বাচনে বিন্দুমাত্র করোনার প্রভাব পড়বে না। মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। সুতরাং এই করোনার সময়ে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করা সুযোগ নেই। অপর দিকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমি কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় নেতা হিসেবে বলছি না, যশোরের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই বলছি, এ বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে কোন প্রকার একটি আসনের জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। তিনি বলেন, যশোরে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাতে মানুষ উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হল। এ অবস্থায় কোন রকম নির্বাচণী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়া সম্ভব না। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রের মহাসচিবসহ দলের নীতিনির্ধারকরা নির্দেশনা দেবেন বলে আমি আশা করি। দল যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযাী আমরা এগোবে বলে তিনি লোকসমাজকে বলেন।