অগ্নিঝরা মার্চ

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ ১৯৪৭ সালের পর থেকে বাঙালিদের নানা ধরনের নির্যাতন ও শোষণ করছে পাকিস্তানি শাসকরা। এ অপশাসনের প্রতিবাদে বাঙালিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ শাসনের জবাব দিতে তারা স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ। এদিন বাঙালিরা শুরু করে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। ১৯ মার্চ গাজীপুরে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নামে সংগ্রামী জনতা। ঢাকার অদূরে এ জনযুদ্ধ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তবে এর আগেও চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনা ও মুক্তিকামী বাঙালি জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এদিনের ঘটনা ছিল স্বাধীনতাকামী জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এদিকে, ঢাকায় প্রেসিডেন্ট হাউসে তৃতীয় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়ার মধ্যে। আজকের বৈঠকও শেষ হয় কোন প্রকার সমাধান ছাড়া। তৃতীয় বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাব হলো- প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কেন্দ্রে আপাতত ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সরকার থাকতে পারে। কিন্তু প্রদেশগুলোতে অবিলম্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার গঠন করবে এবং পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রস্তাবিত পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে মিলিত হয়ে ছয় দফার ভিত্তিতে খসড়া সংবিধানের সুপারিশ করবে।