জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিসহ ২ দিনের কর্মসূচি : ৭ বছরেও পরিশোধ করা হয়নি মহসেন জুটমিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা

0

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনার শিরোমনি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুটমিল বন্ধের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ, গ্রাচুইটিসহ পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। শুক্রবার বিকেল ৪ টায় মিলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্যোগে পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোড়ল আব্দুর রহমান, ডা. ফরিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাগজী ইব্রাহিম, আমির মুন্সি, এরশাদ আলী, মো. হালিম, নাসির উদ্দিন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহসেন জুটমিলের মালিক ও সিবিএ নেতাদের সুগভীর ষড়যন্ত্রের কারণে মিলটি বিগত ২০১৩ সালের ২৩ জুন প্রথমে ৩৯০ দিন লে অফ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই শ্রমিক-কর্মচারীদের শ্রমআইন অমান্য করে এক নোটিশের মাধ্যমে ছাটাই করে কর্তৃপ। ছাটাইয়ের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি শ্রমিক-কর্মচারীদের যাবতীয় পাওনাদি। শ্রমিক-কর্মচারীদের জমানো পিএফ’র টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। মিলটি বন্ধের পর শ্রমিক-কর্মচারীদের দুঃখ-কষ্টের শেষ না হলেও কপাল খুলেছে কতিপয় সিবিএ নেতার । মিলের মেশিনারিজ, গাছ, বিভিন্ন ভবনের ইট রাতের আধারে তারা বিক্রি করছেন। সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করে কোন মালামাল বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত হলেও সিবিএ নেতারা শ্রমিকদের দিকে না তাকিয়ে মালামাল বিক্রির কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অনেক সিবিএ নেতা মিল বন্ধ থাকলেও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। মানববন্ধন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে আগামী ৬ জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ১০ জুলাই শ্রমিক কলোনীতে শ্রমিক জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সময় মিল মালিক এবং সিবিএ নেতারা শ্রমিক-কর্মচারীদের কোন খবর নেননি। তারা ছেলে- মেয়েদের নিয়ে অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অর্থের অভাবে অনেক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় ও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেক শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মিলটি বিক্রির চেষ্টা চলছে। মিল বিক্রি হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হবে।