তালায় মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের খবরে দৌড়-ঝাঁপ শুরু

0

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরার তালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলির বিরুদ্ধে মৎস্য অধিদপ্তরের সিআইজি কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ প্রদর্শনী প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির সংবাদে তিনি বেসামাল হয়ে পড়েছেন। মূল ঘটনাকে আড়াল ও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ইতোমধ্যে অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিজ উদ্দীন সরদারকে দিয়ে মহলবিশেষ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট সিআইজি সমিতির নেতৃবৃন্দের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন প্রকৃত তথ্য সরবরাহ না করতে। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতেও মাঠে নেমেছে একটি মহল। অভিযোগে জানা যায়, প্রকল্পের অধিনে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মোট ২৪ টি পুকুরে সিআইজি কার্প জাতীয় মাছের চাষ হচ্ছে। প্রকল্পের প্রতিটি পুকুরে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও পুকুরের মাছসহ অন্যান্য খাদ্য উপকরণের ভাউচার দিয়ে প্রায় ৯ হাজার টাকা করে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তালা মৎস্য অফিস কর্তৃক ২৪ টি সিআইজি সমিতির অনুকূলে সমপরিমাণ পুকুরে মৎস্য চাষের জন্য প্রতিটি ২০ হাজার টাকা হারে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। যার প্রেক্ষিতে গত ১৮ মে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খা বাবলি ২৪ টি সমিতির প্রতিটির অনুকূলে একমণ কার্প জাতীয় মাছ, ৮ বস্তা (২৫ কেজির) ফিস ফিড এবং সাইনবোর্ড কিনে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণ করেন। সূত্র জানায়, প্রতিটিতে প্রদেয় মাছের দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা, খাদ্য উপকরণ ৫ হাজার ৬ শ’ টাকা, সাইনবোর্ড সর্বোচ্চ ৩ শ টাকাসহ সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৯শ টাকা। অথচ বরাদ্দের বাকি টাকা কোথায় এবং কি উদ্দেশ্যে খরচ করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন সিআইজি প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফরম ও ভাউচারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। তারা আরো জানান যে, অফিসের মাঠ সমন্বয়কারী ক্ষেত্র পরিদর্শক রফিজ উদ্দীন উক্ত উপকরণ প্রদান করে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করেন। সূত্র মতে, ২৪টি সিআইজি পুকুরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও মূলত প্রতিটি পুকুরে সর্বোচ্চ ১১হাজার টাকার মাছসহ মালামাল প্রদানে সর্বমোট ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভাউচারে বরাদ্দের সমুদয় টাকা খরচ দেখানো হলেও মূলত বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে তালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খা বাবলির কাছে জানতে চাইলে, প্রথমত তিনি কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। পরে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন। তাছাড়া একটি ট্রেনিংয়ে থাকায় পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।