কে পাচ্ছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রয়াত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর উত্তরসূরি কে হচ্ছেন—তা নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে ৩ জনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। তারা হলেন—ময়মনসিংহ-৭ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুন এবং চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যার সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি।
আলোচনায় থাকা ৩ জনের মধ্যে সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী এই পর্যন্ত দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। বর্তমানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এদিকে, বজলুল হক হারুন এই পর্যন্ত ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গত মেয়াদি তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সৌদি-আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন এই সংসদ সদস্য। আলোচনায় থাকা সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এই পর্যন্ত তিনি ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
১৪ দলীয় জোটসূত্র বলছে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে অনেকের নাম আলোচনায় এলেও উল্লিখিত তিন জন থেকেই যেকোনো একজনকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সূত্রের দাবি, ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে তিন জনই ওই পদের যোগ্য। তাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও আছে। জানতে চাইলে হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী বলেন, ‘১৯৮৪ সাল থেকে তৃণমূলে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। সে হিসেবে যদি দায়িত্ব পেলে সততার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করবো।’
একই প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ভাবছি না। সব সময় দলীয় প্রধানের কথা অনুযায়ী কাজ করেছি। তিনি আমাকে যেসব দায়িত্ব দিয়েছেন, সেগুলো যথাযথভাবে করার চেষ্টা করেছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে পূর্ব-অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো।’ প্রায় একই মত জানালেন সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারিও। তিনি বলেন, ‘আমি ৪ বার সংসদ সদস্য হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০ বছর এই মন্ত্রণায়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। তাই এই মন্ত্রণালয়ের সব কাজ আমার নখদর্পণে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কে পেতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ২ জন সদস্য বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই মন্ত্রণালয় খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। তাই, যোগ্য, পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতা ও সফলতাকেও যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। যাদের নাম আলোচনায় আছে, তারা সবাই যোগ্য। তবে, সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন (শনিবার) করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেখ আবদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। এরআগে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করলে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।