বেনাপোল বন্দরে শুক্রবারও বাণিজ্য সচল

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর শুক্রবারও সচল রয়েছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন । গত বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্যেও সঙ্গে জড়িত পাঁচ সংগঠনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাস ক্লান্তিকালে প্রায় তিন মাস ধরে এ পথে ভারতের সাথে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনান্য দিনের ন্যায় শুক্রবারও সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
তবে বেনাপোল বন্দরের সাধারণ আমদানিকারক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে ৭ দিন বাণিজ্য সচল রাখতে হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শুক্রবার খোলা রাখতে হবে। কারণ পণ্য চালান খালাসের সময় এসব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের রাজস্বের টাকা ও পন্য ছাড়করণে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লেনদেন করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাংকগুলে বন্ধ থাকায় বন্দর খোলা রেখেও ব্যবসায়ীদের খুব একটা উপকার হয়না। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয়, তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়ে থাকে। বর্তমানে খাতা-কলমে বেনাপোল বন্দর সপ্তাহে ৭ দিনে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু কথা বলা হলেও শুক্রবার বন্ধ থাকে। এছাড়া সরকারি ছুটির দিনও কোন কার্যক্রম হয়না।
এদিকে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩৯ ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করে। এসব আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, ডালিম, পান পাতা ও মাছ। প্রায় তিন মাস পর স্থলপথে ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে বলে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক জানান। ।বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মধ্যে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ধীরে ধীরে বন্দরে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থলপথে কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দ্রুত যাতে তারা পণ্য খালাস নিতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে গত ২২ র্মাচ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরর্বতীতে লকডাউন শিথিত হলে গত ৭ জুন সড়ক পথে সাধারণ পণ্যের আমদানি শুরু হলেও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল।