চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেড় মাসে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পিয়াঁজ আমদানি; রাজস্ব আয় প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা

0

রিফাত রহমান,,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি(১৮.০৬.২০২০):চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও ভারতের গেদে ট্রেন রুট দিয়ে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন পিয়াঁজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকরা পিয়াঁজ বহন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন থাকার কারণে দু’দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাস ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ৪২টি রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৫ মেট্রিকটন পিয়াঁজের চালান ভারত থেকে আসে।
স্থানীয় সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার খালিদ হাসান ট্রেডার্স নামে আমদানিকারক ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে এই পিঁয়াজ আমদানি করেছে। আমদানিকরা পিয়াঁজ দর্শনা রেলবন্দরে ওয়াগন থেকে নামিয়ে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এরপর থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক ভারত থেকে পিয়াঁজ আমদানি করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনা রেলবন্দরে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে পিয়াঁজ আমদানি অব্যহত রয়েছে। গত ৯ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত এক মাস ৮ দিনে ১ হাজার ২৯৯ টি রেলওয়ে ওয়াগনযোগে ৪৯ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন পিয়াঁজ আমদানি করা হয়েছে। আরও পিয়াঁজ আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াঁজ স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে স্থানীয় পিয়াঁজ ৪৫Ñ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর লিয়াকত আলী জানান, দর্শনা রেলবন্দরে ভারত থেকে একই সময়ে পিয়াঁজ, পাথর, চিনি, আদা প্রভৃতি পণ্য আমদানি হচ্ছে। এর মধ্যে তুলনামুলক পিয়াঁজ আমদানি বেশি হচ্ছে। আমদানিকরা পিয়াঁজ বেশিরভাগই দর্শনা রেল ইয়ার্ডে নামানো হচ্ছে। এছাড়া যশোর নওয়াপাড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন রেলষ্টেশনে ওয়াগন থেকে আমদানিকারকগণ পিয়াঁজ নিজেদের অনুকুলে নিচ্ছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কেবলমাত্র পিয়াঁজ আমদানিকারকদের কাছ থেকে ওয়াগন ভাড়া আদায় করেছে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।