স্বর্ণের আউন্স এখন ১ হাজার ৭৩৩ ডলার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েকদিন ধরে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৭৩০ ডলারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩৩ ডলারের সামান্য বেশি। যদিও আগের দিনের তুলনায় মূল্যবান ধাতুটির দাম কিছুটা কমে এসেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মহামারীর সময় শেয়ারবাজারের টালমাটাল অবস্থা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শ্লথতা স্বর্ণের বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে চাঙ্গা রেখেছে। খবর রয়টার্স ও মার্কেট ওয়াচ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গতকাল ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৭৩৩ ডলার ৩০ সেন্টে বিক্রি হয়। আগের দিনের তুলনায় মূল্যবান ধাতুটির দাম দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে স্পট মার্কেটে এদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয় ১ হাজার ৭২৭ ডলার ২৪ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় স্বর্ণের স্পটমূল্য অপরিবর্তিত ছিল।
গত সপ্তাহে কর্মসংস্থান খাতের ইতিবাচক তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মহামারীর সময়ও দেশটিতে নতুন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তবে এ খবর শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার দেশটির তিনটি প্রধান শেয়ার সূচকে মন্দা ভাব বজায় ছিল। মধ্য মার্চের পর এদিন দেশটিতে শেয়ার সূচকে সর্বোচ্চ পতন দেখা গেছে।
এদিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ জানিয়েছে, করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক সময় লাগবে। এ কারণে ফেডের বর্তমান সুদহার দীর্ঘমেয়াদে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। একদিকে শেয়ার সূচকে নিম্নমুখী প্রবণতা, অন্যদিকে ফেডের এমন অবস্থান—এ দুইয়ের জের ধরে স্বর্ণের দাম তুলনামূলক চাঙ্গা রয়েছে।
অথচ মার্চেও স্বর্ণের বাজার মন্দার মধ্য দিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ১৬ মার্চ প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে তিন মাসের সর্বনিম্নে নেমেছিল। ওইদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয় ১ হাজার ৪৫০ ডলার ৯৮ সেন্টে। তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মূল্যবান ধাতুটির বাজার পরিস্থিতি। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৭৩০ ডলারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, তিন মাসের কম সময়ের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ২৮০ ডলারের বেশি বেড়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি আউন্স রুপা বিক্রি হয়েছে ১৭ ডলার ৬৪ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কম। এদিন প্লাটিনামের দাম দশমিক ২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৮১২ ডলার ৩৭ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। আর প্রতি আউন্স প্যালাডিয়াম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯২১ ডলার ২২ সেন্টে।