রামপাল উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের নানান পদক্ষেপ

0

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব থেকে রামপাল উপজেলাবাসী আপাতত মুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সতর্কতার সাথে চলাচল করায় এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রামপালে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্তের মধ্যে ১০৫ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে খুলনাসহ বিভিন্ন পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্য ৫৫ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ৫৫ জনের মধ্যে ৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের জনৈকা সুমাইয়া বেগমের ২য় ও ৩য় রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তাকে শুক্রবার করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হয়। অপর দুই জন ঢাকার মেরুল বাড্ডা থেকে ভাগায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় আসার পর উপসর্গ দেখা দিলে গত ৩০ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরা হলেন, ঢাকার মেরুল বাড্ডার হরিপদ বিশ্বাসের কন্যা হেমা বিশ্বাস ও হরিপদ বিশ্বাসের স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস। নমুনা দেওয়ার পর ওই দিনই তারা একই গাড়িতে ঢাকা ফিরে জান। কাগজে কলমে রামপালে ২ জন বেশী দেখানো হলেও বর্তমানে তারা ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের নমুনা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, এখানে কর্মরত চিকিৎসকগণসহ সকল কর্তকর্তা কর্মচারী করোনা প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ায় আমাদের উপজেলাকে এখনও পর্যন্ত নিরাপদ রাখা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল এর প্রতিনিধিকে জানান, করোনা দূর্যোগের শুরুতেই আমরা মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। হাট বাজারগুলোতে যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষ ক্রয় বিক্রয় করতে পারে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করে সে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য উপজেলা প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন। তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।