যশোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেবিকা, মা-মেয়েসহ আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত

0

বিএম আসাদ ॥ গতকাল যশোরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সেবিকা ও মা মেয়েসহ আরও ১১ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে যশোর জেলায় মোট ১শ’ ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত এক নারীকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। যশোর থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় তার নাম না থাকলেও পরীক্ষার রিপোর্টে নাম দেয়া হয়েছে।
গত ৬ মে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে পরীক্ষা শেষে গতকাল ৭৭টি রিপোর্ট যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়। এর ভেতর ৩টি ফলোআপ পরীক্ষার রিপোর্ট। ৭৪টি ছিল নতুন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। ওই ৭৪টি রিপোর্টের ভেতর আক্রান্ত দেখানো হয় ১২ জন। কিন্তু আক্রান্ত শামীমা সুলতানার রিপোর্ট যশোরের না হওয়ায় সিভিল সার্জন তার নাম বাদ দিয়ে ১১ জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, তার অফিস থেকে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো নমুনার মধ্যে ওই নারীর নাম নেই। এ ব্যাপারে যবিপ্রবির ভিসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে নমুনা বাক্সে ভরে যেভাবে পাঠানো হয়, সেভাবে পরীক্ষা করে আমরা রিপোর্ট পাঠাই। নমুনার একটা কোড নম্বর থাকে। যার সিরিয়াল-১১৮।
যশোরের বাক্সের ভেতর ওই নমুনা ছিল। যশোর জেলায় যে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে তাদের ভেতর রয়েছে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রের কর্মকর্তা। যিনি করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এ উপজেলায় গতকাল ৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর ভেতর মা ও মেয়ে রয়েছে। তাদের বাড়ির গৃহকর্তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী। তিনি এর আগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ৭ জনের বাড়ি অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তার আশেপাশে বলে ইউএইচএফপিও ডা. এসএম মাহমুদুর রহমান রিজভী জানিয়েছেন। এ নিয়ে অভয়নগরে আক্রান্ত হলেন ২৭ জন। অন্যদিকে, ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন যশোর সদর উপজেলায়। তাদের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন। শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকায় তিনি বসবাস করেন। অপর ৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলার হামিদপুরে একজন, দুর্গাপুরের ১ জন ও বালিয়াভেকুটিয়া গ্রামের ১ জন। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন একজন আক্রান্তদের মধ্যে।