যোগিপোল ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত অনুদান বিতরণে আত্মসাতের অভিযোগ

0

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি॥ দিঘলিয়া উপজেলার ৬নং যোগিপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত জমি আছে ঘর নাই, হত দরিদ্রদের জন্য ভিজিএফ/ভিজিডি র্কাড ও করোনা ভাইরাসে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত সাহায্যের তালিকায় অনিয়ম, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী প্রতিবাদকারী মা-বোনদের সাথে অশ্লিল অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সরকারি বিভিন্ন অনুদান বিতরণে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় স্থানীয় খানাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করেন যোগিপোল ইউনিয়নবাসীর পক্ষে জাতিয় নির্বাচনের সেন্টার কমিটির মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব নিলুফার ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে দুই পাতার লিখিত বক্তৃতায় চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, করোনা প্রার্দূভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রির ঘোষিত ত্রাণ তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা উপেক্ষা করে চেয়ারম্যানের নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের লক্ষে স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বাদ দিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেন। বিষয়টি ইউনিয়নবাসী জানতে পেরে গত ৬ মে ইউনিয়ন কার্যালয়ে চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে পরে সেনাবাহিনী সহ আইন শৃংখলা বাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ সম্মেলনে বলেন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও শত শত দুস্থ মানুষের কাছ থেকে দশ হাজার/ বিশ হাজার টাকা করে নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান রয়েছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত র্কাডের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এ সকল ভুক্তভোগীদের অনেকেই খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে যাহার তদন্তও চলমান। চেয়ারম্যানের দূনীতির বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করলে তাকে জীবননাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় স্বাধীনতার স্থাপতি বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান কে ১৯৭৫ সালে হত্যার পর চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতিতে জড়িত ছিলো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সুশান, উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ করে সরকার বিরোধী এজেন্ডা সুকৌশলে বাস্তবায়ন করছেন। দলের প্রবীণ নেতা এবং নারী সমাজকে অসম্মান অপদস্ত হরহামেশায় করে যাচ্ছে।
এছাড়াও চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের ছোট ভাই শেখ কামাল আহম্মেদ একজন সরকারি চাকুরিজীবি হয়ে তার নিজ নামে হতদরিদ্রদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজির চাল) ডিলারশীপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত জানিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। চেয়ারম্যানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের ভাইয়েরা জীবননাশের হূমকি প্রদান করছে। চেয়ারম্যান সকল দূর্নীতি এবং তার ভাই কামাল আহম্মেদের ডিলারশীপের অনিয়মের তদন্তপুর্বক ব্যবস্থার দাবী জানান সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৩৩নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রুমা খন্দকার মুন্নি, সাধারণ সম্পাদিকা অম্বিকা রাণি মন্ডল, মনা রানী, রাজিয়া বেগম, মনিরা বেগম, মনিজা বেগম, নাজমা আক্তার, রতœা বেগম, হোসনে আরা বেগম, তাহেরা বেগম সহ ভুক্তভোগীরা ।