এবার নিউ ইয়র্কে বিরল উপসর্গ নিয়ে শিশুদের মৃত্যু, আতঙ্ক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রদাহজনিত জটিলতায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই উপসর্গ করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট। রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রিও কিয়োমো নতুন উপসর্গটি নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, এটি করোনা ভাইরাসের সম্পূর্ণ নতুন এক অধ্যায়। এর আগে ইউরোপে একইরকম উপসর্গ নিয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, কভিড-১৯ শিশুদের জন্য তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ। গড়পড়তায় বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুহার কম। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়, নিউ ইয়র্কে প্রদাহজনক জটিলতায় প্রথম শিশুর মৃত্যু হয় গত শুক্রবার।
স্থানীয় সময় শনিবার নিজের সংবাদ সম্মেলনে কিয়োমো জানান, একদিনের ব্যবধানে আরো এক শিশু ও টিনেজার একই উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবররণ করেছে। তিনি বলেন, এই রোগ তরুণ তিন নিউ ইয়র্কারের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এটা নতুন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কজুড়ে অন্তত ৭৩ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। এই শিশুরা বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তাদের মধ্যে কাওয়াসাকি রোগের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিয়োমো বলেন, ওই শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করার সময় অনেকের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে তাদের প্রত্যেকেই দেহেই করোনা ভাইরাস বা এর অ্যান্টিবডির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, তারা প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে, এনবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ওই বিরল উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৮৫ শিশু। কিয়োমো বলেন, আমরা জানতাম শিশুরা আক্রান্ত হবে, তবে তারা এতে কষ্টে ভুগবে তা ভাবিনি।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়ীকি দ্য ল্যান্সেটের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে বৃটেনে ১৪ বছর বয়সী এক শিশু একইরকম উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। এছাড়া, ইউরোপেও বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেখানে শিশুদের মধ্যে পেটে ব্যথা, গ্যাসজনিত সমস্যা, কার্ডিয়াক প্রদাহ দেখা গেছে। উল্লেখ্য, কাওয়াসাকি রোগে সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়। ফলে শিশুদের মধ্যে জ্বর, তীব্র ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি, চোখ উঠা সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। রোগটি তীব্র হলে ধমনীর দেয়ালগুলোয় জ্বালাপোড়া শুরু হতে পারে। এতে হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে আক্রান্তের মৃত্যু হতে পারে।