যশোরে চিকিৎসকগণ দম্পতিসহ তিনজন প্রথম করোনামুক্ত

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৩ জনের ভেতর চিকিৎসক দম্পতিসহ ৩ জনকে এই প্রথম করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন গতকাল তাদেরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন। তারা হলেন- যশোর মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হক এবং তার স্ত্রী যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের (টিবি হাসপাতালের) কনসালটেন্ট ডা. শরীফা খাতুন। অপরজন হচ্ছে- চৌগাছার বানুরহুদা গ্রামের গৃহবধূ জান্নাতি (২৮)। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, ডা. নাজমুল হক গত ২৫ এপ্রিল এবং তার স্ত্রী শরীফ খাতুন ২৬ এপ্রিল কোভিড-১৯ সংক্রমণের আক্রান্ত হয়েছিলেন। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে তাদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদিকে, জান্নাতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ২৩ এপ্রিল। হোম আইসোলেশনে একটানা চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে আরোগ্য লাভ করেন। এরপর নির্ধারিত আরও ১৪ দিন পার হওয়ার পর গতকাল ৮ মে সিভিল সার্জন করোনামুক্ত ঘোষণা করে তাদের ছাড়পত্র প্রদান করেন। একই সাথে আরও কয়েকদিন তাদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন দৈনিক লোকসমাজকে টেলিফোনে জানান, যাদের হোম আইসোলেশন হোম কোয়ারেন্টাইন এবং হাসপাতালে অবস্থানের মেয়াদ ১৪ দিন থেকে ২৮ দিন পার হয়েছে। তাদের আর কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। তারা সকলেই করোনামুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। গতকাল ৮ মে যশোরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৫টি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে ৩টি মোট ৮টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন অফিসে পৌঁছে। তাতে সকলেই করোনামুক্ত। ৭ মে পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানে চিকিৎসক, সেবিকাসহ ৩ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে অভয়নগরে ২ জন, বাঘারপাড়ায় ২ জন, চৌগাছায় ১৪ জন, সদর উপজেলায় ৩ জন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২০ জন, ঝিকরগাছায় ৭ জন, কেশবপুরে ১২ জন, মনিরামপুরে ৫ জন ও শার্শা উপজেলায় ৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অভয়নগরে ১ জন, টিবি হাসপাতালে ৫ জন, কেশবপুর হাসপাতালে ৯ জন, মনিরামপুর হাসপাতালে ৩ জন এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২ জন মিলে মোট ২০ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।