করোনা ভয় উপেক্ষা করে চৌগাছার অসহায় মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন জীবীকার সন্ধানে

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে চৌগাছাতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এক মাসের অধিক সময় ধরে মানুষ ঘরে বন্দি। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার সংখ্যাও যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে জীবিকার সন্ধানে তারা ছুটছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার চৌগাছা উপজেলা সদরে মানুষের সরব উপস্থিতি সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সোমবার ছিল চৌগাছার সাপ্তাহিক হাটের দিন। কাকডাকা ভোর থেকে মানুষ ছুটছে চৌগাছার হাটে। কেউ যাচ্ছে সবজি নিয়ে, কেউ দোকান খুলতে আবার অনেকে যাচ্ছেন কোনো না কোনো কাজ করে টাকা রোজগারের সন্ধানে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গোটা পৌর এলাকা মানুষে একাকার হয়ে যায়। নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব নেই কোনো ভয়। যে যার মত দুটো টাকা রোজগারে ছুটছেন। প্রশাসনের পক্ষ হতে সকাল ৬ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত শুধু ভোগ্যপণ্যের দোকান ও ওষুধের দোকান সারা দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও সোমবার সব ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন এবং দুপুর পর্যন্ত যে যাই বিক্রি করতে পেরেছেন তাতেই যেন মহাখুশি।
কসমেটিক্ ব্যবসায়ী শিমুল হাসেন জানান, এক মাসের বেশি সময় হল দোকান খোলা হয় না, সকালে ঘর খুলে ১০ টা পর্যন্ত ছিলাম তাাতে নয় হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে এতেই খুশি, কিছু দিন চলতে পারবো। দা, বটি, কাস্তে বিক্রেতা লক্ষণ কুমার বলেন, আর পেরে দিচ্ছি না ভাই, তাই বাধ্য হয়ে ঘর খুলতে হয়েছে। বস্ত্র ব্যবসায়ী মো. বাবু বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে আজ ঘর খুলেছি, বড় ভাই মাঠে ধান কাটছে আমি ঘর খুলে বসেছি যা বিক্রি হবে তাই দিয়ে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরতে হবে। এ ছাড়া ছোটখাটো যানবাহন ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমন অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ সব চালকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরে চাল নেই, রমজান মাস কি করে বেঁচে থাকবো, তাই বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছি। করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ, তাই মানুষকে সচেতন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।। সে কারণে মানুষকে সচেতন করে ঘরে রাখার পাশাপাশি নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্তদের তালিকা করে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে উত্তম, এমনটিই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।