সরকারি নিয়ম ভেঙে মসজিদে অধিক মুসল্লির নামাজ আদায়

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নিয়ম মানছে না অধিকাংশ মসজিদ। সেখানে প্রতিদিনের নামাজ জুম্আ ও তারাবির জামাতে সরকারের বেঁধে দেয়া সীমা অমান্য করে অতিরিক্ত মুসল্লি নামাজ আদায় করছেন। সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে রক্ষা করা হচ্ছে না।
দেশে করোনা ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় মসজিদে শর্ত সাপেক্ষে জামাত চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়াক্তিয়া জামাতে পাঁচজন, জুমআর জামাতে ১০ জন ও তারাবির জামাতে সর্বোচ্চ ১২ জন মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়তে হয়। প্রথমদিকে এ নির্দেশনা অনুসারে মসজিদ কমিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা শিথিল হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের কেন্দ্রস্থলের মসজিদ ছাড়া অধিকাংশ মসজিদে নির্ধারিত সংখ্যার অধিক মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করছেন। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেও কোন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। কোনা সংক্রমণের পর অনেক মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ইফতারির আয়োজনও চলছে।
যশোর সদর উপজেলার রামনগর এলাকার একজন মুসল্লি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক লোকসমাজকে মোবাইল ফোনে জানান, সেখানকার পুকুরকুলপাড়া মসজিদে অধিক মুসল্লি নিয়ে নিয়মিত তারাবির জামাত হচ্ছে। অন্যান্য জামাতেও সরকারি সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না। একই পাড়ার আবুবকর (রা.) মসজিদ রয়েছে আরেক ধাপ এগিয়ে। সেখানে অনেক মুসল্লি এক সাথে ইফতার করছেন। তারাবির জামাতেও বেশি মুসল্লি হচ্ছে। মসজিদে অধিক মুসল্লির একসাথে জামাতে অংশ নেয়ার পক্ষে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি যুক্তি দেখাচ্ছে যে, কাঁচা বাজারে এতো লোক সমাগম হতে পারলে সামান্য সময়ের জন্যে মসজিদে ঢুকতে পারবে না কেন ? এ যুক্তি দেখিয়ে তারা জোর করে মসজিদে ঢুকে পড়ছে। এক্ষেত্রে পলিশের নজরদারি কিছুটা কম। করোনা মহামারী থেকে রক্ষায় এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।