যশোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই: স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন আরও চার জন শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৩৪

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোববার জেলায় ১৪ জনের করোনা রোগী শনাক্তের পর সোমবার নতুন করে আরও চারজন মানুষের শরীরে করোনা জীবানুর অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা হলো মোট ৩৪ জন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের ল্যাবে যশোরসহ চার জেলার ৭৮ জনের নমুনা পরীা করে ১১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এ রিপোর্ট দেয়া হয়। এর মধ্যে যশোরের ৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে চারটি পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে রোববার (২৬ এপ্রিল) ৯ ম দিনে ৪ জেলার ৭৮ জনের নমুনা পরীা করে ১১ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের ৮ জনের নমুনা পরীা করে ৪ জনের এবং ঝিনাইদহের ৩৯ জনের নমুনা পরীা করে ৪ জন ও নড়াইলের ২০ জনের নমুনা পরীা করে ৩ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। তবে মাগুরার ১১ জনের নমুনা পরীা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। প্রফেসর ইকবাল ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, নমুনা পরীক্ষার পর সোমবার সকালে ফলাফল আইইডিসিআরসহ সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন বরাবর মেইল পাঠানো হয়েছে।
যশোরে ৪ জনের মধ্যে ২জন চৌগাছা উপজেলা সদরের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা দুজনই স্বামী- স্ত্রী। তাদের নাতি ৮ অস্টম শ্রেণির ছাত্র ইতোপূর্বে করোনায় শনাক্ত হয়। লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টইন না মেনে নানা নানী ওই কিশোরের সংস্পর্ষে আসায় নানা-নানী আক্রান্ত হয়েছেন বলে ওই পরিবারের সূত্রে জানাগেছে। যশোর সদর উপজেলায় যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি লেবুতলার পরানপুর গ্রামের আক্রান্ত যুবকের মা। গত শনিবার ওই যুবকের করোনা পজেটিভ আসে। এছাড়া কেশবপুর উপজেলায় সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় শনাক্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে। সোমবার বেলা ৩ টা ২১ মিনিটে যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন চারজনের করোনায় আক্রান্তের কথা স্বীকার করেন। এর আগে বেলা ১২ টায় তিনি এ বিষয়ে আপাতত কিছু বলা যাবেনা বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আক্রান্তদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের বাড়ি ও আশপাশের বাড়ি লোকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।