নওয়াপাড়ায় ওজনে কম এবং পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) ॥ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পঁচা মাংস বিক্রি ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশি দামের ভালো মাংসের সাথে মাথার ও ছাঁটাইয়ের মাংস মিশিয়ে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রতিনিয়ত ক্রেতা সাধারণ মাংস কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ থাকার পরও এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা প্রতারণার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাংস ব্যবসা।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে নওয়াপাড়ার মাংস বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানা হচ্ছেনা কোন স্বাস্থ্যবিধি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করা হচ্ছে রোগাক্রান্ত পশু। দোকানগুলোতে টাঙ্গানো নেই কোনো মূল্য তালিকা। তাছাড়া এসব দোকানগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে ওজনে কম দেয়ার। অভিযোগ রয়েছে ৪-৫ দিন আগের পঁচা-বাসি মাংসও বিক্রি করে তারা। তাছাড়া ভালো মাংসের সাথে মাথার কমদামের মাংস ও ছাঁটাইয়ের মাংস মিশিয়ে প্রতিনিয়ত বেশি দাম নিয়ে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। বারবার এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মিলছে না। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মাংস ক্রেতা উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ জানান, কিছুদিন আগে আমি এখানকার মুরগির দোকান থেকে একটি সোনালি মুরগি কিনে ওই দোকানের মেশিনে পরিস্কার করতে দিয়ে অন্যান্য বাজার করতে যাই। পরে মুরগি নিয়ে বাসায় এসে দেখি মুরগির কলিজাটুকু পঁচা । এছাড়া বেঙ্গলগেট এলাকার বাসিন্দা কাশেম আলী জানান, গত শনিবার আমি নওয়াপাড়ার মাংসের দোকান থেকে সাড়ে তিন কেজি মাংস কিনি। বাড়িতে গিয়ে মেপে দেখি ৩ কেজি হয়েছে। তাছাড়া তিনি আরও জানান, প্রতিনিয়ত অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। তাছাড়া এসকল মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই পানি দিয়ে মাংসের ওজন বাড়ানোর অভিযোগও পাওয়া যায়। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে এ নিয়ে কথা বললে তারা বিষটি সত্য নয় বলে জানান। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে আমরা মাংস বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি দোকানে জরিমানা করেছি। পাশাপাশি দোকানদারকেও সতর্ক করেছি। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এখন থেকে অব্যাহত থাকবে।